এম এ রকিব, শ্রীমঙ্গল : আগামী ২৮ নভেম্বর দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌরসভার বহুল প্রতিক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ ২০১১ সালে নির্বাচন হয়েছিল এ পৌরসভায়। প্রায় ৮৬ বছরের পুরনো এ পৌরসভায় ভোটারের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি এর সীমানারেখা। পরবর্তীতে এই সীমানা জটিলতা নিয়ে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞায় নির্বাচন আটকে যায় সাড়ে ৫ বছর। সব মিলে দীর্ঘ সাড়ে ১০ বছর পর এ নির্বাচনে পৌরবাসী ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে দুই মেরুর দুই হেভিওয়েট প্রার্থীসহ মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। তারা হলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য, বর্তমান মেয়র, শিল্পপতি মো. মহসীন মিয়া মধু। তিনি স্বতন্ত্রভাবে খেজুরগাছ মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন। তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিন বার পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর আমলে পৌরসভা ‘গ’ শ্রেনী থেকে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নীত হয় এবং আধুনিক পৌরসভায় রূপদানে অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ সাধিত হয় বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।
অপরদিকে, ক্লিন ইমেজের অধিকারী মৌলভীবাজার জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের আলাউল হলের সাবেক ভিপি এবং শ্রীমঙ্গল দ্বারিকাপাল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন।
এছাড়া শেখ আছাদ উদ্দিন আহমেদ নামের একজন সিনিয়র সিটিজেন মোবাইল ফোন মার্কা নিয়ে এ নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন। তিনি ধনাঢ্য ব্যাক্তি হলেও তাঁর তেমন কোন পরিচিতি নেই শহরে।
জানা যায়, ১৯২৩ সালের আসাম মিউনিসিপ্যাল এ্যাক্ট এর বিধান মূলে ১৯৩৫ সালের পহেলা অক্টোবর শ্রীমঙ্গল পৌরসভার আতœপ্রকাশ ঘটে। ২.৫৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে মৌলভীবাজার জেলার রূপসপুর ও সুইনগড় মৌজার সমন্বয়ে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা গঠিত হয়। স্বাধীনতা লাভ করার পর পৌরসভা শ্রেনী বিন্যাস করনে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা ‘গ’ শ্রেনীর পৌরসভায় রূপান্তর হয়। পরবর্তীকালে ১৯৯৪ সালের ১লা জুলাই ‘গ’ শ্রেনী থেকে ‘খ’ শ্রেনীতে এবং ২০০২ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ‘খ’ শ্রেনী থেকে ‘ক’ শ্রেনীত উন্নীত হয়। ২ দশমিক ৫৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গাঠিত শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সর্বশেষ হাল নাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী ২০ হাজার ৯৮ জন ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনে ৩৩ জন কাউন্সিলর প্রাথী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এছাড়া সংরক্ষিত ৩ নারী কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
প্রায় ৮৬ বছরের পুরনো শ্রীমঙ্গল পৌরসভার দীর্ঘ সাড়ে ১০ বছর পর নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী ও ভোটারের মধ্যে ব্যাপক প্রাণ চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা দিন-রাত গণসংযোগ করে যাচ্ছেন ভোটারদের মন জয় করতে।#
এ জাতীয় আরো খবর..