1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারসহ সিলেট বিভাগে এইডসে শনাক্ত ১০২০, মৃত্যু ৪৩১

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৪৬৬ বার পঠিত

স্টাফ রিপোটার: সিলেটে চলতি বছর এইচআইভি আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হয়েছেন ৩৪ জন। আর এ পর্যন্ত মোট শানাক্ত হয়েছেন ১০২০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৩১ জন।বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে সিলেটে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ওঠে আসে এসব তথ্য।বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার বলেছেন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এইচআইভি আক্রান্তদের জন্য সব ধরনের সেবা ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণ রোগীর মতোই কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়াই এসব রোগী সেবা পাচ্ছেন। ক্ষেত্র বিশেষে তাদের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যবস্থাও আছে।তবে চিকিৎসা ব্যবস্থা যতই উন্নত এবং সময়োপযোগী হোক না কেন আমাদের কে সবার আগে মনযোগ দিতে হবে এইচআইভির সংক্রমণ প্রতিরোধের উপর। এইরোগ নিয়ে ভীত না হয়ে সচেতন হতে হবে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে নতুন সংক্রমণ হ্রাস পাবে আর এভাবেই এইচআইভি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
“সমতার বাংলাদেশ, এইডস ও অতিমারী হবে শেষ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ওসমানী হাসপাতালে বিশ্ব এইডস দিবস-২০২১ পালিত হয়েছে। দিনের শুরুতে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদারের নেতৃত্বে স্ট্যান্ডিং র‌্যালি কর্মসূচি পালিত হয়।করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব ধরনের স্ব্যাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনে র‌্যালিসহ এইডস দিবসের যাবতীয় কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, চিকিৎসক,সেবিকাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারী ও সেবা গ্রহীতাগণ অংশগ্রহণ করেন। র‌্যালি শেষে হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হাসপাতলের পরিচালক এবং ইউনিসেফের সহায়তায় পরিচালিত পিএমটিসিটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ানের সভাপতিত্বে ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মোতাহের হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রদত্ত এইচআইভি সেবা এবং মা হতে শিশুর শরীরে এইচ আইভি সংক্রমন প্রতিরোধ কার্যক্রম পিএমটিসিটি’র সেবা সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন হাসপাতালের আবসিক চিকিৎসক ও এআরটি সেন্টারের ফোকাল পার্সন ডা. আবু নঈম মোহাম্মদ। প্রধান অথিতির বক্তৃতায় উপাধ্যক্ষ অধ্যপক শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশে এইচআইভি আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় প্রভূত উন্নতি হয়েছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে ঔষধ বেশ ভাল কাজ করছে এবং সংক্রান্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুবই কম হওয়ায় অধিকাংশ রোগীই স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন। সাধারণ অন্যান্য রোগের মতোই এইচআইভি আক্রান্তগনও নিয়মিত চিকিৎসা নিয়ে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারেন। তবে অবশ্যই নতুন সংক্রমণের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ নাসরিন আক্তার তার বক্তব্যে বলেন, এই হাসপাতালে সব গর্ভবতী মায়েদের বিনামূল্যে এইচআইভি পরীক্ষা করার মাধ্যমে আক্রান্ত মায়েদের চিহ্নিত করে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের বাচ্চাদের শরীরে এইচআইভির সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। পিএমটিসটি কার্যক্রম চলমান রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, যেকোন মূল্যে এই সেবা অব্যহত রাখতে হবে। সহযোগী সংস্থার সহায়তায় পিএমটিসিটি কার্যক্রম অব্যহত রাখা না গেলে একটু সময় নিয়ে, প্রস্তুতি নিয়ে হলেও যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরকারী ব্যবস্থাপনায় হস্তান্তর করতে হবে। অন্যথায় পিএমটিসিটি প্রকল্পের আওতাধীন সেবা গ্রহীতাদের সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ যোগিন্দ্র সিনহা বলেন, এইচআইভি আক্রান্ত মায়েদের সুস্থ সন্তান জন্মদান বাংলাদেশের এইচআইভি সেবা দানের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। হাসপাতালগুলোতে এখন কোন ধরনের বৈষম্য ছাড়াই এইচআইভি আক্রান্ত মা ও শিশু সব সময় সেবা পাচ্ছেন।
সিওমেক হাসপাতালের আবসিক চিকিৎসক ডাঃ আবু নঈম মোহাম্মদ তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে এইচঅঅইভি আক্রান্ত ব্যাক্তিদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ভাইরাল লোড পরীক্ষা করে দেখাগেছে নিয়মিত চিকিৎসার কারণে আক্রান্ত ব্যাক্তিগন এখন অনেক ভাল আছেন এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন। ইউনিসেফের সহযোগিতায় পরিচালিত “সিলেট বিভাগের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতাল সমূহে পিএমটিসিটি সেবা জোরদারকরণ” প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. মোতাহের হোসেন জানান, ২০১৩ সাল থেকে সরকারী হাসপাতাল সমূহে এইচআইভি সেবা প্রদানের সক্ষমতা তৈরীর লক্ষ্যে পিএমটিসিটি প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। প্রকল্পের আওতায় এপর্যন্ত সিওমক হাসপাতালে ৬৭ জন মা সুস্থ সন্তান প্রসব করেছেন। বর্তমানে সিওমকে হাসপাতালে এইচআইভি আক্রান্ত মায়েদের চিকিৎসার একটি ভালো পরিবেশ বিদ্যমান আছে। তবে এই সেবাটির ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, সিলেটে এবছর নতুনভাবে এইচআইভি হিসেবে চিহ্নিত হওয়া ৩৪ জনসহ এ পর্যন্ত মোট সনাক্ত হওয়া এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ১০২০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৩১ জন। বাকীদের মধ্যে ৫৫৮ জন সিলেট এমএজিওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে অবস্থিত এআরটি সেন্টার হতে নিয়মিত ঔষধ সেবন করে যাচ্ছেন। সরকারি অর্থায়ানে এ রোগীদের মধ্যে ঔষধ এবং অন্যান্য সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি এইচআইভি আক্রান্ত মা হতে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধের মাধ্যমে এইচআইভির নতুন সংক্রমণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহায়তায় এই দুটি হাপসাতালে পিএমটিসিটি প্রকল্প চলমান আছে, যার মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..