বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : বিপাকে পড়া দলকে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন করেই মাঠ ছাড়েন শুভাগত হোম। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) ফাইনালের পঞ্চম দিনে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেই ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।
লক্ষ্যটা মোটে ২১৮ রানের হলেও মধ্যাঞ্চল যেন চতুর্থ দিন শেষেই পথ হারিয়ে বসেছিল। প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা মোহাম্মদ মিঠুন যে ফিরে গিয়েছিলেন দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগেই! ২০ রান তুলতেই তিন উইকেট নেই, এমন অবস্থা থেকে পঞ্চম দিনে জয়ের আশা করাটাও কঠিন ছিল মধ্যাঞ্চলের।
শেষ দিনের শুরুর এক ঘণ্টাতে আরো তিন উইকেট নেই তাদের। আগের ম্যাচে তিন অঙ্ক ছোঁয়া সৌম্য সরকারও ফিরলেন ৮ রানে। তাতে কাজটা আরো কঠিনই হয়ে পড়েছিল মধ্যাঞ্চলের। কিন্তু শুভাগত হোম যে সেই কঠিনেরেই বেসেছিলেন ভালো! হাঁকালেন অনবদ্য এক শতক, তাতে ভর করেই পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চলকে চার উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে বিসিএলের শিরোপা ঘরে তুলেছে মধ্যাঞ্চল।
শুভাগত হোম খেলেন ১২১ বলে ২ ছক্কা ও ১৩ চারে ১১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস, সঙ্গে জাকের আলী ৪১ রানে অপরাজিত থেকেছেন। প্রথম ইনিংসেও শুভাগত খেলেছিলেন ১১৬ রানের ইনিংস।
দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ফাইনালে প্রথম ইনিংসে ৩৮৭ রান তোলে দক্ষীণাঞ্চল। জাকির হাসানের ১৯৭ রানের ইনিংস ছাড়াও ৭৬ রান করেন এনামুল হক, ৭১ রান করেন অধিনায়ক ফরহাদ রেজা, ৬৫ রান করেন পিনাক ঘোষ। মধ্যাঞ্চলের পক্ষে ৫ উইকেট নেন হাসান মুরাদ।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত উইকেট হারালেও ক্যারিয়ার সেরা ২০৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে লিড এনে দেন মোহাম্মদ মিঠুন। শেষ পর্যন্ত ৪৩৮ রান করে অল আউট হলেও ৫১ রানের লিড নেয়। এছাড়া ১১৬ রান করেন শুভাগত ও ৫৩ রান করেন জাহের আলী। দক্ষীণাঞ্চলের পক্ষে ৪টি করে উইকেট নেন ফরহাদ রেজা ও কামরুল ইসলাম।
পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ২৬৮ রান তোলে দক্ষীণাঞ্চল। তাতে মধ্যাঞ্চলকে লিড দেয় ২১৮ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টপ, মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও নয় নম্বর ব্যাটার রিষাদ হোসেন খেলেন ৯৯ রানের ইনিংস। মধ্যাঞ্চলের পক্ষে ৫ উইকেট নেন পেসার আবু হায়দার।