1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বড়লেখায় শিক্ষার্থীর ভ্যাকসিন নিবন্ধন ফরমে স্বাক্ষর প্রদানে প্রধান শিক্ষকের টাকা আদায়

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৪৬০ বার পঠিত

বড়লেখা প্রতিনিধি ::

বড়লেখায় স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীর করোনা ভ্যাকসিনের নিবন্ধন ফরমে স্বাক্ষর প্রদানে কেছরীগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান নিয়ম বর্হিভুতভাবে শিক্ষার্থী প্রতি ২০ টাকা করে আদায় করেছেন। মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন।

জানা গেছে, বড়লেখার ৩৭টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন (টিকা) কার্যক্রম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তত্ত¡াবধানে ইতিপূর্বে শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। শিক্ষার্থীদের টিকা কার্ডের নির্ধারিত ফরমে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর প্রদানের পরই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান করছেন। কেছরীগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ থেকে ১৭ বছরের ৪৭০ জন শিক্ষার্থী টিকার জন্য নিবন্ধিত হয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান নানা খরচের দোহাই দিয়ে শিক্ষার্থী প্রতি ২০ টাকা করে আদায় করতে থাকেন। কোন শিক্ষার্থী টাকা না দিলে তিনি তার নিবন্ধন ফরমে স্বাক্ষর করছেন না। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে কতিপয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন। নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাহারা নবাব জুই’র বাবা শরফ উদ্দিন নবাব, ফৌজিয়া রহমানের বাবা আব্দুর রহমান, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী জহুরা ফেরদৌসীর বাবা নুরুল ইসলাম, সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ফারজানা বেগমের বাবা খলু মিয়া প্রমুখ অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক ২০ টাকা না দিলে টিকা ফরমে স্বাক্ষর করেননি। পরে বাধ্য হয়ে তারা টাকা পরিশোধ করে স্বাক্ষর আদায় করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম জানান, করোনা ভ্যাকসিনের নামে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে একটি পয়সাও নেওয়ার নির্দেশনা নেই। অভিযোগ পেয়েই তিনি ওই প্রধান শিক্ষককে দ্রুত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টিকার দোহাই দিয়ে আদায়কৃত টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। টাকা ফেরত না দিলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান জানান, অডিটোরিয়ামের (টিকা কেন্দ্র) ভাড়া ও সেখানে যাতায়াত বাবত শিক্ষার্থী প্রতি তিনি ২০ টাকা করে নিয়েছিলেন। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আদায়কৃত টাকা ফেরত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তা রিটার্ন করবেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..