1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারে বিলুপ্তি ঠেকাতে লাঠিটিলায় প্রয়োজন পুরুষ হাতি

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫৯৪ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক:  সিলেট বিভাগের একমাত্র বন, যেখানে এখনও টিকে আছে পাঁচটি বন্য মাদী হাতি। মৌলভীবাজারের জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার এক প্রান্ত জুড়ে পাথারিয়া হিলস্ রিজার্ভ ফরেস্ট। এর অধীনে লাঠিটিলা বন। প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে এ বনে টিকে আছে পাঁচটি বন্য হাতি।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বনে পুরুষ হাতি নেই। ফলে হাতির বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে না। আর বংশ বৃদ্ধি না হলে এই বন থেকে হাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এই বনে অন্তত একটি পুরুষ হাতির ব্যবস্থা করা গেলে বন্যহাতি বিলুপ্তি থেকে রক্ষা পাবে। আর প্রাকৃতিক বনটি নিরাপদে থাকবে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লাঠিটিলা, সমনভাগ, বড়লেখা, মাধবছড়া বিট নিয়ে এই সংরক্ষিত বন। মানুষের চলাচল ও বসতি করার ফলে হাতিগুলো বনের গভীরে চলে গেছে। তবে, খাবারের খোঁজে মাঝে-মধ্যে লোকালয়ে আসে দল বেঁধে। ভারতের আসাম রাজ্যের বেশকিছু জায়গায় তাদের বিচরণ। লাঠিটিলা বনবিটের অধীনে ৫ হাজার ৬৩১ একর জায়গা রয়েছে। মৌলভীবাজারের ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে সিলেট বনবিভাগের জুড়ী ফরেস্ট রেঞ্জের লাঠিটিলা পাথারিয়া হিল রিজার্ভ ফরেস্টের অংশ। ২০১৫ সালের সর্বশেষ পরিমাপ অনুযায়ী বর্তমানে সংরক্ষিত বনের আয়তন ৮০ বর্গকিলোমিটার। এরমধ্যে লাঠিটিলার আয়তন ২০ বর্গকিলোমিটার।

জুড়ীর লাঠিটিলায় গিয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে প্রতিনিধির কথা হয়। তাদের কাছ থেকে জানা যায়, দীর্ঘ চার যুগ আগে ভারতের আসাম রাজ্য থেকে আসা একদল বন্যহাতি বিচরণ করতো পাথারিয়া হিলস্ রিজার্ভ ফরেস্টে। দুই এক বছর আগেও পাথারিয়া বনে দল বেঁধে বিচরণ করতো এই হাতিগুলো। মাঝে মধ্যে আসা-যাওয়া করতো ভারতের আসাম রাজ্যের বেশকিছু জায়গায়।

স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, তখন এই দলে নয়টি হাতি ছিল। এরমধ্যে আটটি মাদী হাতি ও একটি পুরুষ হাতি। দলের রাজা ছিল পুরুষ হাতিটি। উচ্চতার দিক থেকে সেটি ছিল সবচেয়ে বড়। একসময় এই হাতিগুলো ছিল ভারতের এক মালিকের পোষা। হাতির মালিক মারা যাওয়ায় খাদ্য সংকটে পড়ে হাতির দলটি। পরে মালিকের ছেলে হাতিগুলোকে আসামের বনে ছেড়ে দেন। বনটির নাম দুহালিয়া হিল কিট। তখন এই দলে ছিল সাতটি হাতি। প্রজননক্রমে দুটি হাতি বেড়েছিল, সেই দুটি ছিল মাদী হাতি। তখন থেকে বুনো পরিবেশে এসে এরা বন্যহাতি হয়ে যায়। তবুও এরা ভুলে যায়নি মালিকের কথা।

প্রতিবছর দু-একবার মালিকের বাগানবাড়ি যেত হাতিগুলো। সেখানে গেলে মালিকের ছেলে তাদের দেখভাল করতো। চুপচাপ খেয়ে আবার চলে আসতো বনে। এরকম চলছিল বেশ কয়েক বছর। পরে ধীরে ধীরে তারা জংলি পরিবেশে হিংস্র হয়ে উঠে। এরপর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতে আসা যাওয়া স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু পথে তাদের হিংস্রতা বেড়ে যায়! দলের একমাত্র পুরুষ হাতিটি ছিল বেশ চঞ্চল ও রাগি। পুরুষ হাতিটি তখন থেকে আসামের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত করা শুরু করে।

মোবাইল ফোনে ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানার ডুমাবারই এলাকার নৃপেন্দ্র বিশ্বাস নিপুর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে ধান পাকার সময় পাকা ধানের ক্ষতি করতো হাতিগুলো। এরপর থেকে এলাকাবাসী ধান চাষ ছেড়ে দেয়। তবে হাতিগুলো উৎপাত করা ছাড়লো না। বসত বাড়িতে, কলা বাগানে আসা শুরু করলো। এভাবে তাণ্ডব চালাতো কাঁঠালের মৌসুমেও। পাকা কাঠালের ঘ্রাণে চলে আসতো পুরো দল। এরপর থেকে কাঁঠালের মৌসুম শুরু হওয়ার সময় ফলগুলো কেটে মাঠিতে ফেলে দিতো স্থানীয়রা। কারণ হাড়ি এলাকায় হাতিদের অত্যাচার থেকে মানুষ রক্ষা পাচ্ছিলো না। কাঁঠাল খাওয়ার জন্য এরা এসে ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলতো। তিনি বলেন, ‘একসময় হাতিগুলো সঙ্গে আমরা খেলা করতাম। এখন তারা আর আগের মতো নেই। বেশ হিংস্র হয়ে গেছে। তখন মানুষ পাশ দিয়ে গেলেও ধাওয়া দিতো না, এখন ধাওয়া করে।’ নৃপেন্দ্র বিশ্বাসের বাড়ির ঠিক উত্তর পাশে ছিল করিডোর। যে রাস্তা দিয়ে হাতি বাংলাদেশে ঢুকতো। হাতির ঢোকার জন্য দুটি করিডোর ছিল। একটি ভারত বাংলাদেশের মধ্যবর্তী সীমান্ত ১৩৯৬ পিলারের ঠিক বিপরীতে। আরেকটি ১৩৯৫ পিলারের বিপরীতে। প্রায় এক কিলোমিটার জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেয়নি হাতির জন্য। একবার বাংলাদেশে ঢুকার পর ভারতের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বেড়া দিয়েছিল হাতিগুলো আর ভারতে ঢুকতে দেবে না বলে। কিন্তু আটকাতে পারেনি, বেড়া ভেঙে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা দূর করে।

লাঠিটিলাতে বেশি সময় পার করতো হাতিগুলো। পাথারিয়ায় কয়েকটি বিট থাকা সত্ত্বেও লাঠিটিলায় বিচরণ বেশিছিল। বনে হাতিগুলোর প্রধান খাদ্য ছিল মুলিবাঁশ। লাঠিটিলা বনের ভেতরে তিন জায়গায় লবণ পানি ওঠে। বিশেষ করে লবণ পানি পানের জন্য বছরে অন্তত দুই থেকে তিনবার ছুটে আসতো হাতিগুলো। সেটা ছিল সব চেয়ে পছন্দের পানীয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে দুটি হাতি ভারতের করিমগঞ্জ জেলার চম্পাবাড়ী এলাকায় বৈদ্যুতিক তারে শক খেয়ে ঘটনাস্থলে একটি মারা যায়। আরেকটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন দলে ছিল ৭টি হাতি। এরপর আহত হাতিটিকে বনবিভাগের অধীনে চিকিৎসা করার পর বনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, একবার বনে খাদ্যসংকটে পড়ে জুড়ী উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের বেলবাড়ী, কয়লারতল এলাকায় ধানখেতে নামে হাতিগুলো। পরে অসুস্থ (শক খাওয়া) হাতিটি বনে ফিরতে ব্যর্থ হলে হাতির দল তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এরপর ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ভারতের চম্পাবাড়ী এলাকায় অসুস্থ হাতিটি মারা যায়। মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই এলাকার বিজয় সূত্রধর নামে একজন। পাথারিয়ার বনে সব সময় আসা-যাওয়া করেন লাঠিটিলার ডুমাবাড়ী এলাকার সফিক উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আগে আমরা সব সময় বনে থাকতাম। তখন ৭টা হাতি দেখতে পেতাম। আমরা এক পাশে বসে আছি, হাতিগুলো আরেক পাশে খেলা করছে। দৃশ্যটা এমনই ছিল। তখন হাতিগুলো মানুষকে আক্রমণ করতো না। এখন বেশ কিছু দিন বনে যাওয়া-আসা কম, তাই হাতিগুলোর তেমন দেখা হয় না। বিশেষ করে হাতিগুলো আগে যে সব জায়গায় বিচরণ করতো, সেখানে এখন মানুষের আনাগোনা বেশি। বনের ভেতরে যে বাঁশবন ছিলো, তা পরিষ্কার করে গাছ বাগান করা হচ্ছে। বাঁশ ছিল হাতির প্রধান খাবার। বাঁশবন উজাড় করার ফলে এরা এখানে আর আসে না।’পরিবেশ কর্মী খোরশেদ আলম। তিনি লাঠিটিলা বনে নিয়মিতই আসা-যাওয়া করেন। এবং বনের গভীর পর্যন্ত যান। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, পাথারিয়া হিলস্ রিজার্ভ ফরেস্টের লাঠিটিলা বনবিট প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য সব চেয়ে ভালো স্থান ছিল। এজন্য হাতিগুলো এখানে বিচরণ করতো বেশি। বনের মূল ভূখন্ডে বনবিভাগের আয়োজনে বনায়ন করার কারণে আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে। বনায়নের কারণে বিভিন্ন জাতের গাছ ও বাঁশ কাটা পড়েছে। সেজন্য এখান থেকে বন্যহাতি বিলুপ্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, খাবারের সংকট থাকায় এরা অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে। ২০২০ সালের প্রথম দিকেও হাতিগুলো দেখা মেলে। বর্তমানে এই একালায় হাতিসহ কোনো বন্যপ্রাণী নেই। আর কখনও ফিরে আসবে কি না তাও অনিশ্চিত! কারণ নিষিদ্ধ আকাঁশমনি বাগানে বন্যপ্রাণীর জীবনযাপন করার মতো পরিবেশ থাকে না। এ বিষয়ে লাঠিটিলা বনবিট কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, গত ৬ মাস ধরে হাতিগুলো বাংলাদেশে আসছে না। বিশেষ করে ধানের সিজনে, কাঁঠালের সিজনে ও বাঁশের কুড়িল খাওয়ার জন্য ৫টি হাতি আসতো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের জঙ্গলের চেয়ে ভারতের জঙ্গলটা বিস্তৃত বেশি। সেজন্য তারা সেখানে নিরাপদ মনে করে। যেখানে মানুষ আছে, সেখানে তো হাতি আসবে না। তবে হাতিরা আসলে আমরা তাদের নিরাপত্তা দিয়ে আদর করে থাকতে দিবো। দলের সবকটি মেয়ে হাতি।’

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এলাকার মধ্যে কোনো হাতি মারা যায়নি। জানামতে লাঠিটিলায় পাঁচটি মেয়ে হাতি রয়েছে। এখানে একটি পুরুষ হাতি প্রয়োজন। গত বছর শুনেছি, হাতির এই দলে পুরুষ হাতি নেই। এ বিষয়ে আমরা ভাবছি, কী করা যায়। এই এলাকায় লাইসেন্স করা দু’-একটা পোষা হাতিও রয়েছে। কোনোভাবে যদি তাদের মাঝে মিশ্রন হয়, তাহলে বংশবৃদ্ধি আশা করা যায়। হাতিরা তিন বছরে একবার বাচ্চা দেয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা লাঠিটিলা এলাকায় মানুষ নিয়ে হাতি রক্ষায় কয়েকটি প্রোগ্রাম করেছি। লোকালয়ে হাতি আসলে কী করা যাবে, কী করা যাবে না— এ বিষয়ে অবহিত করেছি লিফলেট বিতরণ করে। অন্যান্য এলাকার চেয়ে এই এলাকার মানুষ নিরীহ। তারা হাতির সঙ্গে খারাপ আচরণ করে না।’

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বন্যপ্রাণীকে টিকিয়ে রাখতে হলে তাদের আবাস্থল সংরক্ষন করা জরুরি। তাদের আবাস টিকিয়ে রাখার জন্য বনকে প্রাকৃতিকভাবে থাকতে দিতে হবে। দ্বিতীয়ত হলো, এই হাতির দলে পুরুষ হাতি নেই। দীর্ঘ দিন থেকে তারা নিঃস্বঙ্গ, সেই কারণে মূলত এই দলে হাতির সংখ্যা দিন দিন কমছে। আর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে হাতিগুলোও মারা যেতে পারে। কারণ এই হাতিগুলো অনেক বয়স্ক। আর তাদের সঙ্গে পুরুষ হাতি না থাকায় এরা বিলুপ্তির পথে।

বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোটের আহ্বায়ক ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার  বলেন, ‘বাংলাদেশের জীববৈচিত্রের কথা বললে এই হাতিগুলো সবচেয়ে বড় প্রাণী। কোনো কারণে যদি দেখা যায় হাতি বিলুপ্ত হচ্ছে, তখন সন্দেহ জাগে, এত বড় প্রাণীর যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে অন্য বন্যপ্রাণীর অবস্থা কী হবে? হাতি সংরক্ষণে আমাদের যথেষ্ট উদাসীনতা রয়েছে। এটার দায়িত্বে যারা আছে, তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রকল্প নির্ভর কার্যবলী পরিচালনা করে থাকেন। বনরক্ষা করার মতো বন্যপ্রাণীও রক্ষা করতে হবে, এটা বন অধিদপ্তরের স্মরণে থাকে না। যে কারণে হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী বিভিন্ন ধরনের র্নিযাতনের শিকার হয়, মেরে ফেলা হয়। এখন হাতির নিরাপদ করিডোর নিশ্চিত করতে হবে। হাতিগুলোর পুরুষ ও মহিলার আনুপতিক কোনো বিষয় যদি থাকে, তাহলে যারা হাতি ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ রয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।’

বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী আদনান আজাদ আসিফ দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন, ‘যারা স্থানীয় তাদের সচেতন করতে হবে। কারণ বন্যহাতি তো আর শহরে আসবে না। বনে থাকে, বনের আশপাশে থাকে। হাতি বা বণ্যপ্রানী মারলে যে দণ্ডনীয় অপরাধ মানুষকে জানাতে হবে। এই জানানোর মাধ্যমটা হচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বনবিভাগের মাধ্যমে। মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতন করা যায়, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বারদের মাধ্যমে কউন্সিলিং করা যায়। পাশাপাশি বন বিভাগ সেমিনার করতে পারে। যে এলাকাগুলোতে হাতি আছে, সেই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে সতর্ক করলে মানুষকে সচেতন করা সম্ভবগ’ তিনি বলেন, হাতিরা কখনও এক জায়গায় থাকে না। তাদের প্রচুর খাবার ও পানির প্রয়েজন হয়। শীতকালে দেখা যাবে ভারতের বন থেকে নেমে এসে বাংলাদেশে চলে আসবে। আবার বর্ষাকালে দেখা যাবে উচুস্থানে চলে যাবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকেবলেন, লাঠিটিলার হাতিগুলো ভালোই আছে। সমস্যা একটাই, এই দলে পুরুষ হাতি নেই। পুরুষ হাতি না থাকলে তাদের স্বাভাবিক প্রজনন হবে না। ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাবে হাতিগুলো।

তিনি বলেন, প্রথমত অন্য কোথাও থেকে তাদের আশপাশে একটি পুরুষ হাতি এনে দেওয়া যায়, তাহলে একটা সমাধান। আবার এই এলাকায় পোষা হাতিও রয়েছে। এগুলোর মধ্যে যদি পুরুষ হাতি থাকে, তাহলে নির্দিষ্ট এলাকায় ছেড়ে দিলেও হয়তো তাদের প্রজনন সম্ভব। এইসব বন্যহাতি যদি বাঁচিয়ে রাখতে হয়, তাহলে এই কাজগুলো করতেই হবে। অন্যথায় হাতি বিলুপ্ত হবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..