সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত ‘ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় ন্যায্যতা’ শ্লোগান নিয়ে মৌলভীবাজারে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত হয়েছে আজ ১৫ মার্চ। এ উপলক্ষে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য একটি বর্ণাঢ্য ট্রাক-শো এর শুভ উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আল আমিনের সঞ্চালনায় সচেতনতাম‚লক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, ক্যাবের সদস্যগণ, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। মৌলভীবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আল আমিন জানান- ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ প্রণীত হয়েছে। ভোক্তা -অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ, ভোক্তা-অধিকার লঙ্ঘনজনিত বিরোধ নিষ্পত্তি, নিরাপদ পণ্য ও সঠিক সেবা নিশ্চিতকরণ, ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাকে ক্ষতিপ‚রণের ব্যবস্থা, পণ্য ও সেবা ক্রয়ে প্রতারণা রোধ এবং গণসচেতনতা সৃষ্টি করা। ইতোমধ্যে প্রান্তিক পর্যায়ের ভোক্তারাও যাতে সহজে অভিযোগ করতে পারে সেজন্য চালু করা হয়েছে ‘ভোক্তা-বাতায়ন’ শীর্ষক হটলাইন সার্ভিস যার নম্বর ১৬১২১। এ হটলাইন ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে একটি যুগান্তকারী প্রয়াস যা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নে গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা রাখবে। এ হটলাইনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভোক্তারাও ঘরে বসেই ভোক্তা-অধিকার সম্পর্কে জানতে পারে, অধিকার ক্ষুণ্ন হলে প্রতিকার চাইতে পারে এবং ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণের সুফল ও ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যের কুফল সম্পর্কেও সম্যক ধারণা অর্জন করতে পারে। এর ফলে গ্রাম অর্থাৎ তৃণম‚ল পর্যায়ের ভোক্তারাও অভিযোগ দায়েরের সুযোগ পাবে। এছাড়াও প‚র্বে ভোক্তার দায়েরকৃত অভিযোগ আমলযোগ্য হলে এবং তদন্তে প্রমাণিত হলে আরোপিত জরিমানার ২৫% অভিযোগকারীকে অফিসে এসে গ্রহণ করতে হতো। ফলে অভিযোগকারীর সেবা গ্রহণে সময় ও অর্থের অপচয় হওয়ার সাথে সাথে ভোক্তার নিরাপদ পণ্য/সেবা পেতেও বিলম্ব হতো। আর এরই সমাধান হিসেবে অধিদপ্তর বিদ্যমান পদ্ধতিকে পরিবর্তন করে প্রণোদনার অর্থ প্রদানে কার্যকর ডিজিটাল/ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা হিসেবে ই-প্রণোদনা সেবা চালু করে। তিনি আরো জানান- সমগ্র বাংলাদেশে ২০০৯-২০১০ থেকে ২০২১-২০২২ (ফেব্রুয়ারি) মোট ঊনপঞ্চাশ হাজার নয়শত আটষট্টি টি অভিযানে এক লক্ষ বিশ হাজার একশত দুই টি দন্ডিত প্রতিষ্ঠানে বিরাশি কোটি পঁয়তালিশ লক্ষ সাতষট্টি হাজার বিয়ালিশ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভোক্তাদের নিকট থেকে মোট লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সংখ্যা ৫৬,১২৪ (ছাপ্পান্ন হাজার একশত চব্বিশ) টি। মোট অভিযোগ নিষ্পত্তির সংখ্যা ৫১,৭৫৯ (একান্ন হাজার সাতশত ঊনষাট)টি। অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দন্ডিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭,২৮১ (সাত হাজার দুইশত একাশি) টি। অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে আদায়কৃত জরিমানার পরিমাণ ৫,০৯,৪৩,২০৮/- (পাঁচ কোটি নয় লক্ষ তেতালিশ হাজার দুইশত আট) টাকা। মোট জরিমানার পরিমাণ ৮৭,৫৫,১০,২৫০/-(সাতাশি কোটি পঞ্চান্ন লক্ষ দশ হাজার দুইশত পঞ্চাশ) টাকা (বাজার অভিযান ও লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে)। অভিযোগকারীকে প্রদত্ত টাকার পরিমাণ এক কোটি পঁচিশ লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার নয়শত সাতাশ টাকা।