শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধের চতুর্থ দিনেও রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে উপচেপড়া ভিড়। টিকিটের জন্য ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। সশরীর স্টেশনে সব টিকিট বিক্রি হওয়ায় চাপ বেড়েছে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারগুলোয় দীর্ঘ সারি। গরমের মধ্যে ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন কয়েক হাজার যাত্রী। আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার (২৫ মার্চ) ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে তারা টিকিট কিনতে ভিড় করেছেন। শুক্র ও শনিবার ছুটি থাকায় অনেকে ঢাকার বাইরে যেতে ট্রেনের টিকিট পেতে মরিয়া। ফলে অন্য দিনের চেয়েও স্টেশনে আজ ভিড় বেশি।
রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেসের টিকিট কিনতে এসেছেন মাসুদ মিয়া। তিনি বলেন, ‘আগে পাঁচ দিনের অগ্রিম টিকিট দিতো। আগে টিকিট করে রেখে নির্ধারিত দিনে ভ্রমণ করা যেত। ব্যাপারটা স্বাচ্ছন্দ্যের ছিল। অনলাইনে এভাবে হুট করে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়াটা যৌক্তিক নয়।’
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. আফছার উদ্দিন বলেন, অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় স্টেশনে ব্যাপক চাপ পড়ছে। এতে যাত্রীদের যেমন ভোগান্তি, আমাদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আশা করি দ্রুত এ ভোগান্তি দূর হবে।
গত ১৪ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে ২১-২৫ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ওইদিন মন্ত্রী বলেন, টিকিট বিক্রিতে অভ্যন্তরীণ সেটআপের জন্য পাঁচ দিন সময় নিয়েছে ‘সহজ’। ২৬ মার্চ থেকে তারা ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু করবে।
তিনি বলেন, আগে পাঁচ দিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হতো, এ সময়ে সেটা দেওয়া হবে না। কাউন্টার থেকে আজ ও আগামীকালের টিকিট দেওয়া হবে। এখানে কোনো কোটা বা আসন সংরক্ষণ থাকবে না।