বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন মৌলভীবাজার শহরের টিবি হাসপাতাল সড়ক। শুক্রবার (১৭ জুন) কোদালিছড়ার ভাটিতে শহরের পশ্চিমাঞ্চলে গিয়াসনগর ইউনিয়নের ভূজবল-আজমেরু এলাকায় দেখা যায়- কচুরিপানার দীর্ঘ স্তুপ জমে বাঁধের মতো তৈরি হয়েছে। ফলে পানি প্রবাহ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে শহরে বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
এ অবস্থায় শুক্রবার (১৭ জুন) সন্ধ্যারাতে আজমেরুতে কোদালিছড়ার পারে ছুটে যান উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ও পৌর মেয়র ফজলুর রহমানসহ পৌর কাউন্সিলরগণ। কচুরিপানা অপসারণে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যোগে শ্রমিকরা কাজ করে যাচ্ছেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর নাহিদ হোসেন, আসাদ হোসেক মক্কু, সৈয়দ সেলিম হক, অ্যাডভোকেট পার্থ সারথী পাল, আনিসুজ্জামান বায়েস, সালেহ আহমদ পাপ্পু প্রমুখ।
কচুরিপানার এই প্রতিবন্ধকতার কারণে শহরের টিবি হাসপাতাল সড়ক, ফাটাবিল, গীর্জাপাড়া, আরামবাগসহ বেশকিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সাথে আছে মানুষের সৃষ্ট নানা উপযোগ। কোদালিছড়া এবং ড্রেনেজ সিস্টেমে বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা ফেলা, প্লাস্টিক-পলিথিন ও বর্জ্য ফেলায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।
ভুজবল এলাকায় স্থানীয় জনগণ জানান- সেখানে অতি ক্ষীণ স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে এই স্থানে কোদালিছড়ার প্রশস্তা মাত্র ১২ ফিটে সংকীর্ণ হয়েছে। যেখানে কচুরিপানার সাথে নাগরিকদের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক-পলিথিন, কাপড়, টিনের টুকরা ইত্যাদি গিয়ে যোগ হয়েছে। ফলে পানি প্রবাহ স্লথ হয়ে উজানে শহরের দিকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
মেয়র ফজলুর রহমান জানালেন আজ শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেল থেকে পৌরসভার শ্রমিকরা কচুরিপানা অপসারণে কাজ করছেন। শনিবার ((১৮ জুন) সারাদিন সেখানে কচুরিপানা অপসারণ করা হবে।
মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, আজমেরুতে অতি ছোট স্লুইস গেট স্থাপনের ফলে কোদালিছড়া মাত্র ফিটে সংকীর্ণ হয়ে এসেছে। কিন্তু অন্য সব জায়গায় কোদালিছড়ার প্রশস্ততা ২৫-৩০ ফিট থেকে ৪০-৫০ ফিট পর্যন্ত আছে। দ্রুত এই সংকীর্ণ স্লুইস গেট সমস্যা সমাধান করা হোক। না হলে শহরে জলাবাদ্ধতা বারবার দেখা দেবে। এছাড়া বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা, প্লাস্টিক-পলিথিন ও বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে। নাগরিকদের এক্ষেত্রে আরো সচেতন হতে হবে।