রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ: বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে কুশিয়ারা নদীতে পানি কমেছে ৫ সেঃ মিঃ। বিষয়টি
নিশ্চিত করেছে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে তাদের দেয়া তথ্যেও অনুযায়ী
শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ নদীতে পানি স্থির রয়েছে। শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে ও
কুশিয়ারা পাড়ের বানভাসীদের সঙ্গে আলাপ হলে তারা জানান, নদীতে পানি কমছে। কিন্তু
জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছে। গরু-বাছুর,হাঁস,মুরগি নিয়ে ওয়াপধা সড়কে ঠাই নিয়েছি।
নদী পাড়ের রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের সমজিদ মিয়া,ইব্রাহিম
মিয়ার গোয়াল ঘরে ৪ ফুট পানি। তারা ঠাই নিয়েছেন ওয়াপধা সড়কে। একান্ত
আলাপচারিতায় আক্ষেপ করে তারা বলেন, গবাদি পশু নিয়ে কোন রকম ওয়াপধা সড়কে দিনপাত
কাটাচ্ছি। এখনো কুশিয়ারা’র পানিতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুরা, মনুমুখ
ও রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ও ফতেপুর ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রামের প্রায় ৭৫ হাজার
মানুষ পানি বন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এদিকে কুশিয়ারা পাড়ে বানভাসিদের খাদ্য
সহায়তায় তেমন কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার থেকে ত্রাণ
সামগ্রী দেয়া অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার কুশিয়ারা পাড়ে গেলে দেখা যায়, ট্রাভেল্স
ব্যবসায়ীরা খাদ্য সামগ্রী কাধেঁ নিয়ে ভিটে হারা মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছেন।
ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের বিশিষ্ট ট্রাভেল্স ব্যবসায়ী রমীজ আলী ইউনিয়নের
জাহিদপুর,শাহাপুর,বেড়কুড়ি,পশ্চিম মোল্লাবাড়ি,হামিদপুর,বিলবাড়ি,তুলাপুর ও সাদাপুর
গ্রামে এসব ত্রাণ সহায়তা সামগ্রী পৌছে দেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন,
মানবিক মন নিয়ে যে কেউ এসে বানভাসিদের পাশে এসে দাড়াতে পারেন। এতে আলাদা
একটা মজা আছে। এদিকে জেলার মনূ ও ধলাই নদ-এ ও পানি কমেছে। শুক্রবার মনূ নদ- এ
বিপদসীমার ৪০৫/১৮৫ সেঃ মিঃ, ধলাই নদ-এ ৩৬৯ সেঃ মিঃ ও কুশিয়ারা নদীতে বিপদসীমার ৩৬
সেঃ মিঃ নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
আব্দুল ওয়াদুদ, স্টাফ রিপোর্টার,মৌলভীবাজার