1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বড়লেখায় সাংবাদিকদের সাথে প্রশাসনের মতবিনিময়, বন্যার্তদের জন্য সরকারি ত্রাণের কোন সংকট নেই

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২
  • ১৩৩ বার পঠিত

বড়লেখা প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সা¤প্রতিক টিলা ধস ও বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ মতবিনিময় ও করনীয় বিষয়ে আলোচনা সভা করেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী জানান উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার দেড় লাখের বেশি মানুষ প্রায় ১৫ দিন ধরে পানিবন্দী। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, সংগঠন ও ব্যক্তি বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। বানভাসিদের মধ্যে ইতিমধ্যে ১৮৫ মেট্টিক টন চাল সরকারিভাবে বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি ত্রাণ সামগ্রীর কোন সংকট নেই।

প্রেসক্লাব স¤পাদক অ্যাডভোকেট গোপাল দত্তের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উবায়েদ উল্লাহ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মীর আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংবাদিক আব্দুর রব, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সাখাওয়াত হোসেন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান, জালাল আহমদ, তপন কুমার দাস, সুলতান আহমদ খলিল, ময়নুল ইসলাম, এ.জে লাভলু প্রমুখ।

সভায় ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী বলেন, স¤প্রতি ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বড়লেখা উপজেলা। বন্যায় বড়লেখার ১০ ইউনিয়নের ২০০ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্নস্থানে টিলা ধসে অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুরুতেই উপজেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রথম দিকে বন্যাদুর্গতদের জন্য ২১টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় আরও ২৯টিসহ মোট ৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। শুরু থেকেই বন্যাদুর্গত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য ইতিমধ্যে ১৮৫ টন চাল বরাদ্দ এসেছে। যা পরিবেশ মন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশে ও জেলা প্রশাসকের নিবিড় তত্ত¡াবধানে পানিবন্দী পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জিআর ক্যাশ পাওয়া যায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এই টাকায় পানিবন্দীদের মধ্যে শুকনো খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্যের ৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, গো-খাদ্যের জন্য ৩ লাখ টাকা এবং ৫শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১২ হাজার প্যাকেট ডানো গুড়ো দুধ মজুদ রয়েছে। আগামী ৭ ও ৮ জুলাই বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি বড়লেখা ও জুড়ী সফরে আসছেন। তখন শিশুখাদ্য বিতরণ করা হবে। এছাড়া প্রবাসীদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠন সবাই বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। যে কারণে বন্যার্ত মানুষের খাদ্যের কোন সংকট তৈরি হয়নি। এরপরও কেউ যদি বাদ পড়ে, তাদেরও দ্রæত খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..