শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:১২ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে এবারের বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেটে পালন করা হয়েছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। বুধবার সকাল ৯টায় সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়েছে। র্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষ করে সিভিল সার্জন অফিসে সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডলের সভাপতিত্বে ও এমওসিএস ডা. স্বপ্লীল সৌরভ রায়ের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক ডা. নূর এ আলম শামীম, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সিলেটের বিভাগীয় কনসালটেন্ট ডা. শহীদ আনোয়ার রুমি, সিলেটের উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল মুনীর রাহিল, সিভিল সার্জন অফিসের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার আবদুল আউয়াল প্রমুখ। সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল সিলেট জেলায় যক্ষ্মা রোগের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। ২০২০ সালে ৪২ হাজার ৬শ’ ৩২ জন সন্দেহজনক যক্ষ্মা রোগীর এলইডি মাইক্রোস্কপি ল্যাবরেটরিতে কফ পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪ শ’ ২৭ জনকে যক্ষ্মা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। একই সালে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে মোট ৬ হাজার ৫শ’ ৬৯ জন সকল ধরনের যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত পূর্বক চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে কফে যক্ষ্মা জীবাণুযুক্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ২শ’ ৭৩ জন। কফে জীবাণুমুক্ত ও ফুসফুসবহির্ভূত যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে যথাক্রমে ১২০২ ও ১০৯৪ জন। শিশু যক্ষ্মা রোগী (যাদের বয়স ১৫ বছরের কম) শনাক্ত হয়েছে ২৬৫ জন ও সকল ধরনের যক্ষ্মা রোগী চিহ্নিতকরণের হার ১৪১ জন প্রতি লাখ জনগোষ্ঠীতে।