শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: ঈদুল আজহার দিনও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনেকেই। গাবতলী টার্মিনাল থেকে দেশের উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে বাস। সড়কে যানজট না থাকায় অনেকটা ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি যাওয়ার কথা বলছেন যাত্রীরা। তবে আছে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ।
রোববার (১০ জুলাই) গাবতলী টার্মিনাল ঘুরে এ চিত্রই দেখা গেছে। কেউ দেরি করে ছুটি পেয়েছেন, কেউ আবার কুরবানির কাজ ও পশুর মাংস সংগ্রহ করেছেন।
কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কুরবানির ঈদে সাধারণত সকালে আর বিকেলের পর যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। যারা ছুটি দেরি করে পান তারা সকালেই রওনা দেন। আর যারা পশু কুরবানির কাজে জড়িত ও মাংস সংগ্রহ করেন তারা বিকেল ও রাতে বাড়ির উদ্দেশ্যে ছুটেন।
দর্শনা বিলাস পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার শরিফ উদ্দিন শিল্টু বলেন, সকাল ১০টার বাসে যাত্রীতে পূর্ণ ছিল। আজ রাত ৯টা ও ১০টায় চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এমন দুটো বাস আছে। সেগুলোর ৫-৬টা সিট ফাঁকা আছে। বিকেলের মধ্যেই সেগুলো পূরণ হবে।
তিনি বলেন, যারা দেরি করে ছুটি পেয়েছেন মূলত তারাই আজকে বাড়ি যাচ্ছেন।
ঈগল পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার রুবেল আনোয়ার জানান, সকালে তাদের বাস ফুল গেলেও বিকেলের বাসে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া এবার পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ঈদের দিন গাবতলীতে যাত্রী কম।
পরিবহন শ্রমিক মামুন ও জারিফুল কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে লোকাল বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন গাবতলীর প্রধান সড়কে।
মামুন বলেন, গতকাল রাত পর্যন্ত গাড়ি চালাইছি। আজকে ছুটি পাইছি। কাউন্টার থেকে বলছে এখন বাস নাই। আবার ভাড়াও বেশি। তাই লোকাল বাসের জন্য অপেক্ষা করছি।