1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

ক্ষুধার্ত লেখক _লেখিকা গল্প প্রতিযোগিতার ২য় পর্বরে তৃতীয় স্থান পাওয়া গল্প “শহরটা_আমার_জন্য_ নয়”- মরিয়ম আক্তার

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২
  • ৩৩৫ বার পঠিত

এই শহরে পা দিতেই শরীরটা কেমন শিউরে উঠলো, কেমন জানি খুশিও লাগতাছে, আবার ভয় ও করতাছে, কিন্তু এই শহরখানতো আমার স্বপ্নের, এই শহরখানে তো দেখতাছি আমাগো গ্রামের মতন, কাঁচা রাস্তা নাই, তার মানে এইহানে বৃষ্টি হইলে কাঁদা হয় না,ওমাগো কতো বড় বড় বাড়ি, আমাগো গ্রামেতো শুধু মাটির ঘর, এই শহরখান কেমন জানি, আর এইহানে আমারে নামায় দিলো, এখন কই যামু, আমিতো এইহানের কিছুই চিনি না, আর সব জায়গায় এতো মানুষ কেয়,,,, আইচ্ছা মামারে একখান ফোন দেই,

এই গল্পটা একদম আলাদা, সবাইকে আগেই বলে রাখি গল্পটা কেউ খারাপ ভাবে নিবেন না,

এই হলো আমাদের গল্পের নায়িকা ফুলকলি, গ্রামে মায়ের সাথে থাকে, ফুলকলি যখন ছোট তখন তার বাবা তার মাকে রেখে, অন্য একজনকে বিয়ে করে চলে যায়, তার মা অনেক কষ্ট করে ফুলকলিকে বড় করেছে, আজ সে গ্রাম থেকে শহরে এসেছে,তার মামার বাসায়, তার শহরে আসার একমাত্র উদ্দেশ্য কাজ করে অনেক টাকা উপার্জন করবে, এরপর মাকে রাজরানি করে রাখবে, কিন্তু তার ভাগ্যে যে লেখা অন্য কিছু,,,,,?
আসুন গল্পে ফিরে যাওয়া যাক,,

হেলো মামা, কই যামু এখন, এইডা কুন জায়গায় নামায় দিলো, শুধু ইয়া বড় বড় বাড়ি, না আছে কোন ধান খেত না আছে, না আছে গাছপালা, এইখান কেমন জায়গা,(ফুলকলি)
মারে তুই চলে এসেছিস, এক কাজ কর তুই যেখানে আছিস দাড়া, তোর ভাইয়া যাচ্ছে তোকে নিয়ে আসতে, (ফোনের ঐ পাশ থেকে)
আইচ্ছা, কিন্তু তাড়াতাড়ি আইতে কও, এইহানে আমার দম বন্ধ হইয়া যাইতাছে,, (ফুলকলি)
আচ্ছা মা তাড়াতাড়ি যেতে বলছি আমি (ফোনের ঐ পাশ থেকে)
আইচ্ছা রাখলাম তাইলে (ফুলকলি বলেই ফোন কেটে দিলো,)
–কিছুক্ষণ পর ফুলকলির মামাতো ভাই সোহেল আসে ফুলকলিকে নিতে,
কিরে ফুলকলি কেমন আছিস (সোহেল)
ভালা আছি, তুমি কেমন আছো গো (ফুলকলি)
ভালো আছি রে, আসতে কোন অসুবিধা হয়নি তো (সোহেল)
আইতে কোন সমস্যা হয় নাই, কিন্তু এই জায়গাখানে ভালা লাগতাছে না,তাড়াতাড়ি বাসায় নিয়া চলো আমারে (ফুলকলি)
আচ্ছা চল (সোহেল)
সোহেল ফুলকলিকে নিয়ে তাদের বাসায় যায়,,,
কিরে চলে এসেছিস,আয় মা,বস,আসতে কোন অসুবিধা হয়নি তো (ফুলকলির মামা)
না মামা,এক্কেরে ভালা মতন আইছি, কোন অসুবিধা হয় নাই,তোমরা আমার লেইগা কাজ ঠিক কইরা রাখছো তো (ফুলকলি)
হুম সব কাজ৷ ঠিক করা আছে, কয়টাদিন পরেই তুই কাজে যাবি, (সোহেল)
ওমা কয়দিন পরে কেন যামু কালকা থেকাই তো যাইতে পারি (ফুলকলি)
আরে না, আজই আসলি কিছুদিন রেস্টনে তার পরে না হয় যাস,(সোহেল)
ঠিক আছে, তুমি যহন কইতাছো তাই করমু (ফুলকলি)
ঐ সব পরে হবে এখন যা তো মা,ফ্রেশ হয়ে নে অনেকটা রাস্তা এসেছিস,এখন ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়েনে (ফুলকলির মামি)
ঠিক আছে মামি(ফুলকলি কথাটা বলেই চলে গেলো)
ফুলকলির মামাতো ভাই সোহেল ফুলকলিকে ভালোবাসতো, আর ফুলকলিও, তাই সোহেল যখন যা বলে তাই শুনে,কখনও সোহেলের কথার উপরে কথা বলে না, আস্তে আস্তে দিন যায়, একদিন ফুলকলি সোহেলকে বলল,
আইচ্ছা ভাইয়া, আমার কোন কাজের ব্যাবস্থা করলা না যে এখনো, (ফুলকলি)
হুম, আজকে রাতে তোকে নিয়ে যাবো (সোহেল)
রাতে কেন (ফুলকলি)
আরে স্যারের কাছে নিয়ে যাবো তোর পরীক্ষা নিবে, আমার চিনা জানা লোক তো তাই (সোহেল)
ও আইচ্ছা( ফুলকলি)
রেডি হয়ে থাকবি আমি যখন বলব তখন যেতে হবে বুজলি(সোহেল)
আইচ্ছা ( ফুলকলি)
রাত হয়ে গেলো, সোহেল ফুলকলিকে নিয়ে একজনের বাড়িতে আসলো, বাড়িটা বেশ সাজানো গোছানো, অনেক পরিপাটি, ফুলকলিকে আলাদা রুমে বসিয়ে রেখে, সোহেল তার বসের সাথে কথা বলতে গেলো,
সোহেল, মেয়েটাকে এনেছো, (সোহেলের বস)
জ্বী এনেছি, (সোহেল)
good, এই নেও এইখানে তিন লাখ টাকা আছে, তুমি এইবার আসতে পারো (সোহেলের বস)
ঠিক আছে, (সোহেল কথাটা বলে ফুলকলির কাছে গিয়ে বললো)
ফুলকলি তোকে আজ এইখানে থাকতে হবে কালকে, তোকে উনি সাথে করে কাজে নিয়ে যাবে, (সোহেল)
কি কও, তুমি থাকবা না, আমি একা থাকুম এইহানে, আমিও তোমার লগে যামু (ফুলকলি)
নারে, কালকে তো তোকে পরীক্ষা দিতে হবে আজকে সারারাত তোকে উনি সবকিছু শিখায় দিবে, তুই থাক আমি গেলাম পরে নাহলে দেরি হয়ে যাবে, (সোহেল কথাটা বলে ফুলকলিকে রেখে চলে যায়,ফুলকলি সোহেলর সাথে যেতে চাইলেও, ফুলকলিকে জোর করে সোহেল এইখানে রেখে যায়,,ফুলকলি বসেছিলো এমন সময় সোহেলর বস রহমান সাহেব আসে ফুলকলির কাছে,
আসসালামু আলাইকুম, স্যার (ফুলকলি স্যারকে দেখে দাঁড়িয়ে সালাম দিলো )
ওয়ালাইকুম আসসালাম, বসো, দাঁড়াতে হবে না (কথাটা বলে রহমান সাহেব বসে পরে,)
তোমার নাম কি ( রহমান সাহেব)
ফুলকলি (ফুলকলি)
নামটা তো বেশ ভালোই, তুমি কি জানো সোহেল তোমাকে এইখানে কেন রেখে গেছে (রহমান সাহেব)
জ্বী, আপনে আমারে কাজ দিবেন এই জন্যে রাইখা গেছে (ফুলকলি)
হাহাহাহা ( রহমান সাহেব বিকট শব্দ করে হাসতে লাগলো)
কি হইলো আপনে হাসতাছেন কেন (ফুলকলি)
হুম, কাজ তোমাকে আমি দেবো, এমন কাজ দেবো প্রতিদিন ১০০০০ টাকা করে পাবা (রহমান সাহেব)
আপনে সত্যি বলতাছেন (ফুলকলি)
হুম একদম সত্যি বলতেছি (রহমান সাহেব কথাটা বলে উঠে দাঁড়ালো, এরপর আস্তে আস্তে ফুলকলির দিকে আগাতে থাকলো,,ফুলকলি কোন কিছু বুজে উঠার আগেই ফুলকলিকে শক্ত করে চেপে ধরলো,)
এইডা কি করতাছেন আপনে, ছাড়েন আমারে (ফুলকলি)
তিন লাখ টাকা দিয়ে তোমাকে কিনে নিছি ছাড়ে দেওয়ার জন্য তো না,,
কথাটা বলেই জানোয়ারের মতো রহমান সাহেব ফুলকলির উপর ঝাঁপিয়ে পরলো,ফুলকলি অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে বাঁচতে পারলো না,,,সে বুজতে পারলো তার সরলতার সুযোগ নিয়ে তার মামারা তাকে বিক্রি করে দিছে, পরের দিন ফুলকলিকে একটা জায়গায় নিয়ে গেলো, ফুলকলি দেখলো তার মতো হাজারো নারী আছে সেখানে,
এই চম্পা, নতুন একটা পাখি আসছে, খাঁচায় পুরে রাখ, নাহলে উরাল দিবে, (রহমান সাহেব)
জি সাহেব, (ফুলকলির হাত ধরে টানটে টানতে) ঐ মাইয়া এইদিকে আয়,মুনিয়া এই মাইয়াটারে নিয়া যা তো (চম্পা)
ঠিক আছে, (মুনিয়া কথাটা বলেই ফুলকলিকে নিয়ে চলে গেলো,)
আইচ্ছা, এইডা কোন জায়গা ( ফুলকলি ) এইটা পতিতালয়, আজকে থেকে তুইও আমাদের মতই এইখানে থাকবি,আর মালিকের কথামত চলবি ( মুনিয়া) কিহ,,,( ফুলকলি এই কথাটা শুনে একদম নিস্তব্ধ হয়ে গেল, তার মানে সোহেল তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছে,,,ফুলকলির নিজের জন্য ততোটা খারাপ লাগছে না যতটা মায়ের জন্য লাগছে,অনে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল গ্রাম থেকে , কাজ করে অনেক টাকা উপার্জন করে মাকে ভালো রাখবে, কন্তিু ভাগ্য তাকে কোথায় নিয়ে এল, এই সব ভাবছিল ,এমন সময় চম্পা এসে বলে, এই মুনয়িা নতুন যে মাইয়াটা আইসে ,ওরে ভালো করে সাজায় রাখিস,আজকে একটা ভালো খরিদ্দার পাইছি, আর এই মাইয়ার নাম কি ( চম্পা ) আমার নাম ফুলকলি (ফুলকলি বলে উঠে)
যেই কলিই হোক,,এতোক্ষণে হয়তো জাইনা গেছো এইখানে সবাই কি করে, তোমারেও, এই কাজই করতে হবে, তাই মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়া রাখো, গেলাম আমি, এই মুনিয়া ওরে তাড়াতাড়ি তৈরি করে রাখ (চম্পা কথাটা বলেই চলে গেলো)  ফুলকলিকে সবাই মিলে সাজিয়ে দেয় এইদিকে ফুলকলির চোখের পানি অঝোর ধারায় স্রোতের মতো বয়ে যাচ্ছে। সেদিকে কারো খেয়াল নেই সবাই ফুলকলিকে সাজতে ব্যস্ত। ফুলকলিকে সাজিয়ে সবাই ফুলকলিকে রেখে চলে যায়। সবাই চলে যাওয়ার সাথেই ফুলকলি পালানোর জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু সে পালাতে পারে না। কিছুক্ষণ পর তার রুমের দরজা খুলে কেউ ভিতরে আসে হাতে একটা মদের বোতল। ফুলকলিকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই সেই লোকটা ফুলকলির উপর ঝপিয়ে পড়ে নিজের লালসা মিটাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে, এইদিকে ফুলকলির চোখ দিয়ে স্রোতের মতো পানি বয়ে যায়, যেনো তার অনেক অভিযোগ কিন্তু সে কাউকে কিছু বলতে পারছে না। এখানে আপন বলতে কেউ নেই সবাই পর। এইভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন রোজ রাতে কেউ আসে নিজের লালসা মিটিয়ে সকালে চলে যায়। এই ভাবে প্রায় দুইমাস পর একজন লোক আসে রোজকার মতো কিন্তু তিনি ফুলকলিকে পাশে বসিয়ে বলে,
আমি নাম মোতাহের তুমি চাইলে আমি তোমাকে এইখান থেকে মুক্ত করতে পারি (মৌতাহের)
ফুলকালিকথাটা শুনে চমকে যায় অনেকক্ষণ লোকটার দিকে তাকিয়ে,কারণ এই রকম কথা কেউ কখনও বলে নাই।
কি হলো, কিছু বলছো না যে, তুমি চাইলে তোমাকে আমি এইখান থেকে নিয়ে যেতে পারি (মোতাহের) আপনে সত্যি আমারে মুক্তি করতে পারবেন এই নরক থেইকা, নিয়া যাইতে পারবেন আমারে (ফুলকলি)
হুম পারবো, আমি তোমাদের মতো মেয়েদের এইখান থেকে নিয়ে গিয়ে মুক্তি দেই। (মোতাহের)
তুমি চাইলে তোমাকেও নিয়ে যেতে পারি, যাবে আমার সাথে। (মোতাহের) হো, যামু, (ফুলকলি)
ঐ কথাই রইলো তাহলে, কাল সকালে রেডি থেকো আমি, ঠিক আসে, তোমাকে নিয়ে যাবে। (মোতাহের কথাটা বলে ঘর থেকে বের হয়ে গেল) এরপরের দিন ফুলকলিকে মোতাহের আগের থেকে ভাবল দাম দিয়ে রহিম সাহেবের কাছে থেকে কিনে নিয়ে গেলো,,,  আমরা এখন কই যামু (ফুলকলি)
আমার কাছে তোমার মতো অনেক মেয়ে আছে, ওদের ঐখানে তোমাকে নিয়ে যাবো, ঐখানে সব মেয়েরা কাজ করে (মোতাহের) আইচ্ছা (ফুলকলি যেনো নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করলো সে ভাবলো,
এইবার হয়তো তার মারে একটা সুন্দর জীবন দিতে পারুম ( ফুলকলির ভাবনাতে ছেদ পরলো হুট করে গাড়ি থেমে যাওয়াতে সে বুজলো হয়তো গন্তব্যে পৌঁছে গেছে) ফুলকলিগাড়ি থেকে নামতেই মোতাহের তার মাথায় পিস্তল ধরে বলে,  এইখান থেকে যদি পালানোর চেষ্টা করিস তাহলে তোকে একদম শেষ করে দেবো কোনো চালাকি করবি না, (বলেই মোতাহের ফুলকলিকে একটা ঘরে অনেকগুলো মেয়ের সাথে আটকে রাখলো ফুলকলি এখানে থাকা মেয়েদের সাথে কথা বলে জানতে পারে এরা নারী পাচার চক্র । আজকে আমি রাতে সবাইকে পাচার করে দেওয়া হবে । রাত হলো সবাইকে গাড়িতে উঠানো হলো সবাইকে এসাপোর্ট নিয়ে গেলো, ভাগ্য ক্রমে পুলিশ পুরা চক্রটাকে ধরে ফেলে এরপর মেয়েদের বাসায় পৌছে দেওয়া হয় শেষে ফুলকলিকে ডিসি রায়হান চৌধুরী প্রশ্ন করল, তোমার বাড়ি কোথায় ? (রায়হান) আমিতো গ্রাম থেইকা আইছি, (ফুলকলি)
তুমি এদের কাছে আসলে কীভাবে,,?? (রায়হান) ফুলকলি সবকিছু বলেন, রায়হান সবকিছু শুনার পর বলল,,
এখন কি তাহলে তুমি বাড়ি ফিরে যেতে চাও নাকি কোনো কাজ করবে ঢাকায় থেকে যাবে (রায়হান) জানেন তো স্যার অনেক শখ করে আইসিলাম ঢাকা শহরে, ভাবছিলাম মারে এইবার একটু ভালো রাখতে পারমু ; অনেক স্বপ্ন নিয়া আইসিলাম এই ঢাকা শহরে, কিন্তু তখন জানতাম না, আমার লাগে আমার ভালোবাসার মানুষটা প্রতারণার করবো,, যাগরে আমি এতো সম্মান করছি ওরাই যে দিনশেষে জানোয়ার হইয়া আমার এতো বড় সর্বনাশ করবো, এইডা আমি জানতাম না, এই শহরে আমাগো মতো ফুলকলি গো কোনো জায়গা নাই, শুধু জায়গা আছে ঐ মানুষ রূপি জানোযারগো, এই শহরটা আমাদের মতো গ্রামের সহজ সরল মাইয়াগো জন্য নয়,,এই শহরটা তাদের জন্যে যারা দিনের বেলায় ভালা মানুষের মুখোশ পইরা রাতে জানোয়ার হইয়া উঠে, আমি আর এই শহরে থাকুম না, আমি আমার মায়ের কাছে যামু,, আমি মায়ের লগেই আগের মতো থাকুম, ঐটাই আমার জন্যে ভালা, এই শহরটা আমার জন্য নয়,,,,,,,,,(কথাটা বলেই ফুলকলি চলে যায়,,)

____________________সমাপ্ত ___________________

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..