1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৫ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

“ঘৃণা” লেখক_গল্পকার_মেঘলা

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২
  • ২৩৮ বার পঠিত

(পর্বঃ০১)

পুরা ভার্সিটির সামনে ধারালো ব্রেড দিয়ে এক পোচ দিয়ে নিজের হাতের শিরা কেটে ফেললো মোহিতা, আর বলতে শুরু করলো,,
ঐ সাজ্জাদ যদি আর একবার আমার পিছে ঘুরে তাহলে, এর থেকেও খারাপ কিছু হবে বলে দিলাম,আমি ওকে ঘৃণা করি শুধু ঘৃণা, (মোহিতা)

গল্পের শিরোনাম শুনেই বুজতে পারছেন, গল্পটা মারাত্মক হতে চলেছে, আসলেই মারাত্মক হবে, এইটা কোনো ভালোবাসার নয় ঘৃণার গল্প,, আসুন আগে ওদের পরিচয়টা জেনে নেই,,,

অনার্স ২ বর্ষের ছাত্রী মোহিতা,, বাবা মায়ের একমাত্র ছোট মেয়ে, ছোট মেয়ে বলে কথা অনেক আদরের, অহংকারীও বটে, এইদিকে ভার্সিটির ভিপি সাজ্জাদ হোসেন, পরিবার বলতে সবাই কানাডা থাকে, কিন্তু তার জেদ সে দেশের মাটিতে পড়াশোনা করবে, তাই বাংলাদেশে থাকা, স্বভাবে প্রচণ্ড রাগী, আর জেদীও বটে, একবার যেটা বলে সেটা করবেই,আমাদের গল্পের নায়ক নায়িকা দুজনের স্বভাব দুই রকম তাহলে কি হবে শেষ পর্যন্ত,,,?? আসুন এইবার গল্পে ফিরে যাই,,

মোহিতা কথাটা বলেই আবারও হাত কাটার জন্য ব্রেডটা হাতের উপর রাখে ঠিক সেই সময়, সাজ্জাদ এসে, মোহিতার হাত থেকে ব্রডটা নিয়ে নেয় এরপর মোহিতাকে, পুরা ভার্সিটির সামনে চর মারে ঠাসসসসসস,,,, মোহিতাতো রেগে আগুন, পুরা ভার্সিটির সামনে তাকে চর মেরেছে সাজ্জাদ, তার ইগোতে লেগেছে, সে চিৎকার করে বলতে থাকে,
তোর এতো বড় সাহস তুই আমার গায়ে হাত তুললি,, আজ তোর একদিন কি আমার একদিন, (মোহিতা)
এইদিকে সাজ্জাদ মোহিতার কোনো কথার জবাব না দিয়ে, মেহিতার কাটা হাতে বেন্ডেজ লাগাতে ব্যাস্ত হয়ে পরলো,,
এই আমার হাত ছাড়, একদম টাচ করবি না আমাকে, (মোহিতা)
এইদিকে কে সাজ্জাদ নিজের কাজ করেই যাচ্ছে কে শুনে কার কথা,মোহিতা নিজের রাগ সামলাতে না পেরে সাজ্জাদকে পালটা একটা চর দিয়ে বসলো, সজ্জাদ ভার্সিটির ভিপি, আর মোহিতা পুরা ভার্সিটির সামনে তাকে চর দিলো, সাজ্জাদ সেটা সহ্য করতে না পেরে, মোহিতার হাত ধরে টানতে টানতে একটা ক্লাসে নিয়ে গেলো এরপর দরজা বন্ধ করে দিয়ে, মোহিতাকে ধাক্কা দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো, মোহিতাতো ভয়ে অস্থির,, সাজ্জাদ বলতে শুরু করলো,,
কি জবান বন্ধ হয়ে গেলো এতো তাড়াতাড়ি, ভয়ে চুপসে গেছে এই তেজি মুখটা, যদি কিছু একটা করি এখন কেউ বাঁধা দেওয়ার মতো নেই, কি জানি বলতেছিলা, ঘৃণা করো আমাকে, শুনো তোমার এই ঘৃণাকে যদি ভালোবাসায় পরিণত না করেছি তাহলে আমিও সাজ্জাদ হোসেন নই,,ওকে, (সাজ্জাদ কথাগুলা বলেই মোহিতাকে ছেড়ে, আবারও মোহিতার হাতে বেন্ডেজ করতে শুরু করে, মহিতা তখন বলে উঠে,,)
কি ভাবেন কি আপনি নিজেকে, সিনেমার হিরো,, ভার্সিটির ভিপি হয়েছেন দেখে কি মাথা কিনে নিয়েছেন নাকি,, আপনার যা ইচ্ছে করবেন আর কেউ কিছু বলবে না, যদি এইটা ভেবে থাকেন আপনি, তাহলে একদম ভুল ভাবেন আপনি, কালকে দেখেন আমি কি করি,, আমি আপনাকে ঘৃণা করি শুধু ঘৃণা,, কোন অনুভূতি নেই আপনার প্রতি আমার, কেন বুজেন না,,,আজ ২ টা বছর ধরে আমার পিছনে লেগে আছেন,, (মোহিতা আরো কিছু বলতে যাবে এমন সময় সাজ্জাদ বলে,,)
প্রথম কথা আমি নিজেকে সিনেমার হিরে ভাবি না,,তোমার হিরো ভাবি৷,, আর দ্বিতীয় কথা আমি একবার যেটা বলি সেটা করি,, একবার যখন বলেছি তুমিও আমাকে ভালোবাসবে,তার মানে ভালোবাসবেই, (মোহিতার কাটা হাতের দিকে তাকিয়ে) হাতে বেন্ডেজ করা হয়ে গেছে,, আর শুনে রাখো, নেক্সট টাইম থেকে এরকম পাগলামি করলে খুব খারাপ হয়ে যাবে বলে দিলাম,,,, মাইন্ড ইট,,, (কথাটা বলেই সাজ্জাদ দরজা খুলে চলে গেলো)
সাজ্জাদ চলে যাওয়ার সাথেই মোহিতার ফ্রেন্ড মিলি এসে মোহিতাকে বলতে শুরু করে,,
কিরে, ক্লাসে এনে তোকে কি করলো,,, (দুষ্টামির ছলে হাসি দিয়ে বললো কথাটা মিলি)
টিটকারি মারিস আমার সাথে, কালকে দেখবি কি হয়, সরে যা সামনে থেকে (কথাটা বলেই মিলিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে চলে গেলো মোহিতা)
এ একেবারে আগুন হয়ে আছে, আল্লাহই ভালো জানে এই মেয়ে কালকে আবার কোন কান্ড করে বসবে,, (মিলি বিড়বিড় করে কথাগুলো বলতে বলতে নিজের ব্যাগ নিয়ে চলে গেলো)
পরের দিন সাজ্জাদ ভার্সিটিতে ডুকেতেই সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি শুরু করে দিলো,,সবাই বলতে লাগলো,
বড় ভাইয়া হয়ে এইসব করে বেড়ান আমরা ছোটরা কি শিখবো তাহলে বলেন, (সাজ্জাদের সিনিয়র একটা ছেলের মুখে এই কথা শুনে সাজ্জাদ থমকে গেলো, তখন সে বললো)
কেন, কোনো সমস্যা হয়েছে কি, (সাজ্জাদ)
আরে মিয়া আপনের সাথে কথা বলারও মুড নাই, (ঐ ছেলেটা কথাটা বলেই চলে গেলো)
কি হলো কিছুই বুজলাম না,,ছেলেটা এমন কেন করলো, ভার্সিটির ভিপির সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় সেটাও জানে না নাকি বুজলাম না,, (কথাগুলো বলেই সামনে যেতে শুরু করলো সাজ্জাদ ,,)
হুট করে কানে এলো,
এই ছেলেটাই না, হ্যাঁ হ্যাঁ এই ছেলেটাই, চল চল এইখান থেকে চলে যাই, একে আজ ভিপি বলতেও লজ্জা হচ্ছে আমাদের ছিহ,,(আশেপাশে কিছু মানুষের এইসব কথা শুনে তাদের কাছে যেতেই তারা চলে গেলো সাজ্জাদের সাথে কোন কথা বললো না,,সে আর সে দিকে খেয়াল না করে আবারও সামনে হাটা শুরু করলো,,,
কিরে মামা,,, ভালোই চালায় যাও, (সাজ্জাদের বন্ধু তামিম পিছন থেকে এসে বললো এই কথা,,)
কি হয়েছে রে সবাই এইভাবে কেন বলছিস, (সাজ্জাদ)
কেন তুমি করতে পারো আর আমরা বলতে পারি না (তামিম)
আরে ভাই করছিটা কি সেটা বলবি তো (সাজ্জাদ)
কিছু জানো না তুমি , মজা লইতাছো (তামিম)
সাজ্জাদ কিছু বলতে যাবে এমন সময় পিছন থেকে কেউ বলে উঠলো,,,,,
কিরে ভিপি,, মান সম্মান তো কিছু থাকলো না,,,,,,,,

চলবে……

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..