বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
বিশেষ সংবাদদাতা: বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের দুইপাশ দখল করে ইট, বালু ও পাথর ফেলা রাখা হয়েছে। এতে সড়কটি সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি দুটি গাড়ি একসাথে চলতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অভিযোগ ওঠেছে, প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন ধরে সড়কের দুই পাশে এগুলো ফেলে রাখলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শুধু আঞ্চলিক সড়ক নয়, উপজেলার অনেক গ্রামীণ সড়কের পাশে ইট, বালু ও পাথর ফেলা রাখা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজের) আওতাধীন বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের চান্দগ্রাম, পাখিয়ালা, পানিধার, কাঠালতলী, দক্ষিণভাগসহ বেশ কিছু স্থানে সড়কের দুই পাশ ঘেঁষে ইট, বালু ও পাথর ফেলে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এগুলো সড়কের পাশ ঘেঁষে রাখা হয়েছে।
কেউ আবার বিক্রির জন্য রেখেছেন। কেউ বা গৃহ নির্মাণের জন্য রেখেছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালীরা সড়কের দুইপাশ দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ইট, বালু ও পাথর ফেলে রেখেছেন। তাই তারা এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করেন না। তাদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে নীরব। তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই সুযোগে প্রভাবশালীরা সড়কের দুইপাশ দখল করে দীর্ঘদিন ধরে এগুলো ফেলে রেখেছেন।
পথচারী আলতাফ হোসেন বলেন, দিনের পর দিন সড়কের দুইপাশ ঘেঁষে যে যার মতো ইট-বালু ও পাথর ফেলে রেখেছেন। কিন্তু এবিষয়ে কেউ কোনো কথা বলছে না। এমনকি যারা এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা তারা যেন দেখেও না দেখার ভান করছেন। অটোরিকশাচালক রাজু আহমদ বলেন, এমনিতেই সড়কটি সঙ্কুচিত। তার মধ্যে অনেকে (প্রভাবশালীরা) সড়কের দুই পাশ ঘেঁষে এগুলো ফেলে রেখেছেন। একসাথে বড় দুটি গাড়ি পাশাপাশি চলতে গেলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দুর্ঘটনা ঘটছে। কলেজ শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এটি একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। অথচ সড়কটির দুইপাশ দীর্ঘদিন ধরে দখল করে ইট-বালু ও পাথর ফেলে রেখে অনেকে ব্যবসা করছেন। কেউ আবার ঘর নির্মাণের জন্য রেখেছেন। এতে চলাচল করতে গিয়ে আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দুঃখের বিষয়, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন আজও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে বলে দেখিনি। আমরা আশা করবো, প্রশাসন যেন দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) সহকারি প্রকৌশলী সাগরময় রায় মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।