শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সংরক্ষিত বনে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের জন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি আনতে হবে। শুধু বিদ্যুৎ নয় সংরক্ষিত বনে যে কোন উন্নয়ন মূলক কাজের জন্যেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অনাপত্তিপত্র আনতে হবে। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে এলাকাবাসী অনাপত্তিপত্র নিয়ে আসলে বিদ্যুৎ সংযোগে আর কোন বাধা থাকবেনা। কালেঞ্জি খাসিয়া পুঞ্জি ও কুরুঞ্জি এলাকার বিদ্যুৎ বিহীন বাসিন্দারা জানান, আমাদের এলাকায় এখনোও বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা হয়নি অথচ মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এই উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করেছে অনেক আগেই। বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের ৩০০ পরিবার জীবন-যাপনে অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে আমাদের এখানের নলক‚ পে পানি থাকেনা। আমাদের অনেক দূর থেকে খাবারের পানি সংগ্রহ করতে হয়। আমাদের বাচ্চারা ঠিক মতো পড়ালেখা করতে পারেনা। সেচের অভাবে ফসলও উৎপাদন হয়না। আমাদেরকে বিদ্যুতের আওতায় আনলে অন্তত এই সমস্যা গুলোর স্থায়ী সমাধান হতো। বিদ্যুৎ লাইন কাভারেজ করে বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোক স্থাপন করা হোক।
সিলেট আদিবাসী ফোরামের কো -চেয়ারম্যান ও মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির মন্ত্রী জিডিসন প্রধান সুচিয়ান বলেন, দীর্ঘ চার বছর ধরে আমরা বিদ্যুতের এর দাবী করে আসছি, কিন্তু কেউ আমাদের কথা শুনেনা। বন এলাকা ও অন্যান্য পুঞ্জিতে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে তখন কোন সমস্যা হয়নি। শুধু এই সব এলাকায় সমস্যা বন বিভাগের। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিয়ে কাভারেজ লাইন স্থাপন করে দ্রুত বিদ্যুতায়নের দাবি জানান তিনি। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম মীর গোলাম ফারুক বলেন, কালেঞ্জি খাসিয়া পুঞ্জিসহ অন্যন্য পুঞ্জগুলো আমরা বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে চাই। কিন্তু বন এলাকা থাকায় বন বিভাগের ছাড়পত্র না থাকায় বিদ্যুৎতায়ন করা যাচ্ছে না।’
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, বন বিভাগের অনুমোদন না থাকার কারণে এই এলাকা গুলোতে বিদ্যুৎ নেই।
এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, খাসিয়া পুঞ্জির সংশ্লিষ্টরা যদি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের অনুমতি নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে আমাদের কোন আপত্তি থাকবেনা।