সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০২:২৫ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ক্যাসটিলোকে ক্ষমতাচ্যুত ও আটকের পর এক সপ্তাহের প্রতিবাদ ও রাজনৈতিক অভ্যুত্থান পরিস্থিতি সামাল দিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার পেরুর প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলবার্তো ওটারোলা ভাঙচুর ও সহিংস পরিস্থিতির কারণে নতুন ৩০ দিনের তৎপরতা ঘোষণা করেন। যার মধ্যে রয়েছে স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও সমাবেশের ওপর স্থগিতাদেশসহ কারফিউ জারির মতো অবস্থা এবং সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরির মতো ব্যবস্থা।
প্রতিরক্ষমন্ত্রী তার ঘোষণায় বলেন, ‘মানুষের ব্যক্তিগত সম্পত্তি, সর্বোপরি কৌশলগত অবকাঠামোসহ পেরুবাসীর নিরাপত্তায় দেশের পুলিশ সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোতভাবে সহায়তা করবে।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ক্যাসটিলোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে শুনানি শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব উদ্যোগ নেওয়া হলো।
এদিকে, ক্যাসটিলোর সমর্থকরা দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি জুড়ে বামপন্থি এই নেতার মুক্তির দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। পাশাপাশি তারা নতুন নির্বাচন ও ক্যাসটিলোর উত্তরাধিকারী দিনা বলুআর্তের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
সঙ্কটের শুরু গত সপ্তাহে যখন ক্যাসটিলো পেরুর কংগ্রেস ভেঙে দিয়ে ডিক্রির মাধ্যমে দেশ শাসণের ঘোষণা দেন। সাবেক শিক্ষক ও ইউনিয়ন নেতা ক্যাসটিলো গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষমতায় এসেছিলেন।
ক্যাসটিলোর এ ধরনের উদ্যোগকে বিরোধী দল অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করে এবং গত বুধবার কংগ্রেসে অভিসংশন প্রস্তাবের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে সর্বসম্মতভাবে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।