রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: বিপিএলের নবম সংস্করণে এসে রানক্ষরা কেটেছে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে। সঙ্গে প্রথা ভেঙ্গে পেসাররাও পাচ্ছেন সুবিধা। নানা বিতর্ক আর সমালোচনার মাঝে আলো ছড়িয়েছেন দেশিয় ক্রিকেটাররা। যেনে নেব ঢাকার প্রথম পর্বের আদ্যোপান্ত।সিলেট-বরিশাল ম্যাচটা যেন ঢাকা পর্বের হাইলাইটস। বরিশালের ১৯৪ রান তাড়া করে অনায়াসে জিতেছে স্ট্রাইকার্স। প্রথাগত স্লো আর বোলার বান্ধব উইকেট বদলে অবশেষে চার-ছক্কা আর রানের ফুলঝুরি ছুটেছে হোম অব ক্রিকেটে।আট ম্যাচে রান হয়েছে ২ হাজার ৪৩৩, ইনিংস প্রতি গড় ১৫২। ছয় হয়েছে ৮৪টি। এই অভূতপূর্ব পরিসংখ্যান এখনো পর্যন্ত সিজন নাইনের সেরা প্রাপ্তি। সঙ্গে পেসারদের আধিপত্য দিয়েছেন নতুন মাত্রা। সে ধারাবাহিকতায় এক ম্যাচেই এসেছে দু’সেঞ্চুরি। দু’পাকিস্তানি ব্যাটার আজম খান আর উসমান খানের জন্য যা প্রথম অভিজ্ঞতা।
তবে টানা তিন হাফ সেঞ্চুরিতে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন সিলেটের তৌহিদ হৃদয়। ১৯৫ রান করে টপ স্কোরার এ ডানহাতী ব্যাটারের সঙ্গী দু:সংবদাও। আঙুলের ইনজুরিতে অন্তত দু’সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন মাঠের বাইরে। ব্যক্তিগত সাফল্যে উজ্জ্বল রংপুরের অভিজ্ঞ রনি তালুকদার। আসরের প্রথম ফিফটি এসেছে এ ব্যাটারের উইলো থেকে মাত্র ১৯ বলে। বিপিএল ইতিহাসে দেশিয়দের মধ্যে যা দ্রুততম ফিফটি।
বল হাতে চলছে সিলেটের মাশরাফির বুড়ো হাড়ের ভেল্কি। ঢাকার আল আমিনের সমান ৭ উইকেট নিয়ে ঢাকার প্রথম পর্বের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি নড়াইল এক্সপ্রেস।
বোলিংয়ে মাশরাফি, রেজাউর, আমির ব্যাট হাতে তৌহিদ হৃদয়, নাজমুল শান্তরা সিলেটকে দিয়েছেন শতভাগ সাফল্য। বাকি দলগুলো যেখানে খেলেছে দুটি করে ম্যাচ সেখানে সবচেয়ে বেশি চার ম্যাচ খেলে সবগুলোতে জয় কখনোই প্লে অফ খেলতে না পারা সিলেটের। এখনো প্রথম জয়ের খোঁজে তামিম ইকবালের খুলনা টাইগার্স আর শিরোপাধারী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
তবে বিপিএল মানেই যখন মাঠ মাঠের বাইরে বিতর্ক, আলোচনা সমালোচনা তখন এবারের আসরের ব্যত্যয় ঘটেনি। আসর নিয়ে সাকিবের নেতিবাচক মন্তব্য, তাতে মাশরাফির সায়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে তামিম, সাকিব, এনামুল হকের প্রতিবাদ। বোলার পরিবর্তন ইস্যুতে সাকিবের মাঠে ঢুকে পড়া।
সম্প্রচারের মান কিংবা তথ্যগত ভুল যেন বিপিএলের সমার্থক হয়ে গেছে। ঢাকা পর্বেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। এবারো ডিআরএস প্রযুক্তি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন আম্পায়ার আর ক্রিকেটাররা। বিকল্প এডিআরএসের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
এছাড়াও আসর শুরুর আগেরদিন টাইটেল স্পন্সরের ঘোষণা, কো স্পন্সর নিয়ে জটিলতা, ম্যাচ শুরুর আগ মুহুর্তে সময়সূচির পরিবর্তন, সময়মত ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর কিট সরবরাহও করতে না পারা, ট্রফি উন্মোচনে নাসির হোসেনের ঠাট্টা তামাসার মত বিষয়গুলো ছিলো আলোচনার খোরাক। ধারাভাষ্য নিয়ে অবশ্য বিতর্ক নেই। বরং কার্টলি অ্যামব্রোসের মতো লিজেন্ড আসরকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছেন।