বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ : এক সময়ের বৃহত্তর সিলেটের শস্যভান্ডার খ্যাত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে ব্যাহত হচ্ছে আউশ চাষাবাদ। কৃষকরা প্রাথমিকভাবে জমিতে হাল দিলেও বৃষ্টিপাত এবং সেচের অভাবে ভর মৌসুমেও আউশের জমি তৈরি করতে পারছে না। জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে মৌসুমের শেষ সময়েও জমিতে আউশ রোপন করতে না পারায় কৃষকরা শঙ্কায় রয়েছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আউশ মৌসুমে কৃষি অধ্যুষিত এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৭৭০ হেক্টর। এ পর্যন্ত সর্বসাকুল্যে চাষাবাদ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫শ’ হেক্টর। মাঝে মধ্যে হাল্কা বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষদের কেউ কেউ প্রাথমিকভাবে জমিতে লাঙ্গল চালান। তবে চাহিদা মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং সেচের অসুবিধায় পরবর্তীতে আর জমি তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে আউশ রোপন করতে না পারায় কৃষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
শমশেরনগরের কৃষক সিদ্দিকুর রহমান, মবশ্বির আলী, সাজ্জাদ মিয়া, পতনঊষারের আক্তার মিয়া, সুনীল দেবনাথ, শেরওয়ান আলী, মুন্সীবাজারের মোজাহিদ আলী বলেন, বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আউশের জমি এখনও তৈরি করতে পারিনি। লাঙ্গল চালিয়ে কিছু জমি ভেঙ্গে রাখলেও পানি না থাকায় এখন সেসব জমিও তৈরি করা যাচ্ছে না। তাছাড়া আউশের মৌসুমে অন্যান্য বছর এসময় জমিতে রোপন শেষ হয়ে যেত। কয়েকদিনের মধ্যে যদি ভারী বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে আউশ চাষাবাদও সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। এতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে। রহিমপুরে কৃষক জমির মিয়া জানান, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমবে, এই ভরসায় তুলনামূলক উঁচু জমিতে তিনি ধান চাষ করেন। কিন্তু এ বছর ঠিকমতো বৃষ্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। পানির অভাবে মাঠের ধান গাছগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, কৃষকদের শঙ্কার কিছু নেই। বৃষ্টিপাত শীঘ্রই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে কৃষকরা আউশ চাষাবাদ সম্পন্ন করতে পারবেন। আউশ রোপনের সময় এখনো আছে।