1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কুমিল্লায় গড়ে উঠছে সবুজ পোশাক কারখানা, সুফল মিলছে রপ্তানিতেও

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩
  • ৭৪ বার পঠিত

 

ডেস্ক রিপোট:ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মধ্যবর্তী কুমিল্লায় একের পর এক গড়ে উঠছে সবুজ পোশাক কারখানা। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেয়েছে একটি। এসব কারখানায় উৎপাদিত পোশাক ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে। বছরে এখান থেকে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

গার্মেন্টস খাতের একাধিক উদ্যোক্তা বলেন, গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি বাংলাদেশে বাড়ার কারণে প্রচলিত বাজার তথা ইউরোপ ও আমেরিকার বাইরে নতুন বাজারগুলো থেকে বাড়তি অর্ডার আসছে। এতে সার্বিকভাবে রফতানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়বের পোশাক রপ্তানির ওপর ভর করে দেশের অর্থনীতিও জোর কদমে এগিয়ে চলেছে।

জানা যায়, বাংলাদেশে এখন গ্রিন ফ্যাক্টরি ১৮৬টি। এর মধ্যে প্লাটিনাম ক্যাটাগরির ৬২টি, গোল্ড ১১০টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড চারটি। এর মধ্যে গত বছরে ৩০টি কারখানা স্বীকৃতি পায়। এর মধ্যে ১৫টি ছিল প্লাটিনাম ক্যাটাগরির। আর চলতি জানুয়ারি মাসে দুইটি প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে ও একটি গোল্ড ক্যাটাগরিতে গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ৫৫০টির বেশি কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরি হতে রেজিস্ট্রেশন বা পাইপলাইনে রয়েছে।

গোল্ডেন ক্যাটাগরিতে সবুজ কারখানার স্বীকৃর্তি পাওয়া কুমিল্লার ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আয়েশা আক্তার বলেন, অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে বৈশ্বিক বাজারে যখন পোশাকের অর্ডার কমে যাচ্ছে, তখন এ ধরনের স্বীকৃতি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মনোবল বৃদ্ধি করে। এতে বাংলাদেশের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বাড়ছে। এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের রফতানি আয়ে সুবাতাস বইছে। অর্থ নৈতিক ভাবে উন্নত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট থেকে ২০২২ সালে সাড়ে ৪ কোটি টাকার পোশাক রপ্তানি করেছেন।

এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি জামাল আহমেদ বলেন, এ ধরনের স্বীকৃতি আমাদের মনোবল বৃদ্ধি করছে। এর প্রভাব পড়ছে রপ্তানি আয়েও। দেশের সবুজ ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি বাড়ার কারণে আগামীতেও রপ্তানি আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

তবে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গ্রিন ফ্যাক্টরি করতে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন। একটি ফ্যাক্টরি করতে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। এর পাশাপাশি জমিও লাগে প্রায় তিন থেকে ১০ বিঘা। তারা আরও জানান, এ পর্যন্ত দেশে যেসব কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরির খেতাব জিতে নিয়েছে, তাদের বেশির ভাগ উদ্যোক্তার বিনিয়োগই ৫০০ কোটি থেকে এক হাজার ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ছিল।

তাঁদের মতে, গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি পেতে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়। ভবন নির্মাণ শেষ হলে কিংবা পুরনো ভবন সংস্কার করেও আবেদন করা যায়। গুরুত্ব্পূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এর জন্য উদ্যোক্তাকে উৎপাদনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনায় শতভাগ আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রাখতে হয়।

সবুজ কারখানায় যা থাকবে : আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে যে পরিমাণ জমির ওপর কারখানা হবে তার অর্ধেকটাই ছেড়ে দিতে হবে সবুজায়নের জন্য। সবুজ বাগান থাকবে। কারখানার চারপাশে খোলা জায়গা থাকবে। ভেতরেও থাকবে খোলা জায়গা। শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ থাকবে সুন্দর। এক শ্রমিক থেকে অন্য শ্রমিকের দূরত্বও থাকবে বেশ। এ ছাড়া সবকিছুই হবে স্বয়ংক্রিয়। যন্ত্রপাতি হবে অত্যাধুনিক। ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হবে। থাকবে সোলার প্যানেল, এলইডি লাইট। এ ছাড়া পানি রিসাইক্লিং ব্যবস্থা থাকতে হবে।
সূত্র : বাসস

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..