1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৬ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সেজান জুসের কারখানায় নিহত ও আহতদের ক্ষতিপুরণ প্রদান এবং ঈদের আগে সকল শ্রমিকদের মজুরি ও বোনাস প্রদানের দাবি

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১
  • ২২৫ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার :: সেজান জুসের কারখানায় নিহত ও আহতদের ক্ষতিপুরণ প্রদান এবং ঈদের আগে সকল শ্রমিকদের মজুরি ও বোনাস প্রদানের দাবি মৌলভীবাজার ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের রাজধানীর অদুরে রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের সেজান জুসের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহতদের আইএলও কনভেশন ১২১ অনুযায়ী আজীবন আয়ের সমপরিমান ক্ষতিপুরণ, আহতদের সুচিকিৎসা, পুণর্বাসন ও উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ এবং ঈদের আগে সকল শ্রমিকদের মজুরি ও বোনাস প্রদানের দাবি জানিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ। সংগঠনটির জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ নুরুল মোহাইমীন এবং সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস ১০ জুলাই গণমাধ্যমে পাঠানো একযুক্ত বিবৃতিতে করোনা সংক্রমণের উচ্চহারের কারণে চলমান লকডাউনের সময়ে জীবিকার তাগিদে কাজে যোগ দেওয়া শ্রমিকদের এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২ জনের এমন মর্মান্তিক করুণ মৃত্যুতে গভীর শোক এবং নিহত ও আহতদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন বিভিন্ন শিল্প কারখানায় বার বার ভবনধ্বস ও অগ্নিকান্ডে অকাতরে হাজার হাজার শ্রমিকদের তাজা প্রাণ ঝরলেও শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়নি। তাই এই অগ্নিকান্ড নিছক কোন দূর্ঘটনা নয়, এটা হত্যাকান্ডের সাথে তুল্য। এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষী সকল পক্ষকে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কারখানা থেকে বের হওয়ার গেট বন্ধ, ভবন নির্মাণে ত্রুটি, প্রতি তলায় ৩৫ হাজার স্কয়ার বর্গফুটের ৬ তলা ভবনে মাত্র দুইটি সিড়ি, অগ্নিনির্বপানের কোন ব্যবস্থা না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে এত মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। দেশে এরকম ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা বা অনুমোদনহীন কারখানার সংখ্যা কত, আর কত শ্রমিককে এভাবে আগুণে পুড়ে মরতে হবে এই প্রশ্ন রেখে নেতৃবৃন্দ বলেন মালিকের পাশাপাশি সরকারও কোনভাবেই এই হত্যাকান্ডের দায় এড়াতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন করোনা সংক্রমণের উচ্চ সংক্রমণের কারণে ১ জুলাই হতে সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে হোটেল-রেস্টুরেন্ট, বেকারি, পর্যটনসংশ্লিষ্ট শ্রমিক, নৌযানসহ সকল ধরণের পরিবহণ শ্রমিক, রিকশা-ঠেলা-দিনমজুর, স’মিল, চাতাল, মুদ্রণ, পাদুকা, ক্ষৌরকার, হকার, গৃহকর্মী, দোকান কর্মচারী, নির্মাণ, বারকি, দর্জি শ্রমিকসহ বিভিন্ন সেক্টরেরর অধিকাংশ শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে অনাহার-অর্ধাহারে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এরকম অবস্থায় সরকার জনগণের কোন রকম দায়দায়িত্ব গ্রহণ না করে ‘কঠোর লকডাউন’ চাপিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশের ভয় দেখিয়ে জনগণকে গৃহবন্দী করে রাখতে চাইছে। উপরন্তু কোন রকম বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই সরকার লক্ষ লক্ষ ব্যাটারি চালিত রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক উচ্ছেদ করার তৎপরতা চালাচ্ছে। চলমান লকডাউন আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। কিন্তু শ্রমিক ও শ্রমজীবীদের এই দুঃসহ সময়ে না কোন মালিক তাদের সহায়তা করছেন; না তারা পাচ্ছেন সরকারি সহায়তা। শ্রমিক ও শ্রমজীবীদের জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা বিধান না করে লকডাউন চাপিয়ে দেওয়া সরকারের দায়হীনতার পরিচয় বহন করে। করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে শ্রমিক অর্থনীতির চাকা সচল রাখে, করোনার আঘাতে আজ সেই শ্রমিক ও শ্রমজীবী জনগণের জীবন ও জীবিকা সবচেয়ে সংকটে। নেতৃবৃন্দ করোনার দূর্যোগকালে চা ও রাবার শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা না করা এবং ০৭ মাস অতিবাহিত হতে চললেও মজুরি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊদ্ধগতির সময়ে চা-শ্রমিকদের সর্বোচ্চ দৈনিক মজুরি মাত্র ১২০ টাকা। নেতৃবৃন্দ আসন্ন ঈদুল আযহার কমপক্ষে এক সপ্তাহ পূর্বে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক নির্বিশেষে সকল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও বোনাস (উৎসব ভাতা) প্রদান, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউন কার্যকরে ঘরে ঘরে খাদ্য, নগদ অর্থ, বিনামূল্যে চিকিৎসা, নিত্যপণ্যে মূল্য কমানো ও সর্বস্তরে রেশনিং চালু, লকডাউনে শ্রমজীবী ও কর্মজীবী জনগণের বেতন ও বোনাস প্রদান নিশ্চিত করা, পণ্যবাহী নৌযানসহ জরুরী পরিষেবায় নিয়োজিত শ্রমিকদের জন্য ঝুঁকি ভাতা প্রদান, জরুরী ও ঝুকিপূর্ণ পরিষেবায় নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীদের টিকাদান কর্মসূচিতে অগ্রাধিকারভূক্ত করা, বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে ৬/৭ জনের একটি শ্রমিক পরিবার সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৬৭০ টাকার নির্ধারণ করা,করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের নিকট হতে গ্যাস, বিদ্যুত, পানির বিল আদায় বন্ধ, এনজিওদের কিস্তি আদায় বন্ধ ও সুদ মওকুফ করার দাবি জানান।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..