মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক: শালিসি ব্যক্তি বিএনপি নেতা মতিন বকশকে নিয়ে যে খবর প্রচার হচ্ছে তা মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।
আজ সোমবার প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন মাধ্যমে মতিন বকশ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় তিনি তার বিরুদ্বে আনীত মিথ্যা অপপ্রচার সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন-
সংবাদ সম্মেলনে সহোদর দুই ভাই আব্দুল মতিন ও আব্দুস শহিদ এর লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন আব্দুল মতিনের স্ত্রী ফুল বিবি।
এসময় তারা বলেন, ৭৮ শতকের মধ্যে আমাদের সবার বাড়ি রয়েছে। গত আওয়ামী আমলে কয়েক বার বিচার হয়। এক পর্যায়ে ৭নং চাদনীঘাট ইউনিয়নে বিচার বসে, সে ক্ষমতার দাপটে রায় মানে নাই। সে সাবেক এমপি জিল্লুর এবং নেছার আহমদের ঘনিষ্ট মানুষ। সব গুলি দলীয় প্রোগ্রাম এবং বৈষম্য বিরুধী আন্দোলনে সে লাটি নিয়ে চৌমুহনায় অপরাপর আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের সাথে অবস্থান নেয়। সে তাতীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আলীর একনিষ্ট সাথী এবং তাতীলীগের কমিটির পদধারী ব্যক্তি। আওয়ামী লীগ নেতা নেছার আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমানসহ নেতাদের সাথে এবং আওয়ামী প্রোগ্রামে তার ছিত্র রয়েছে। পট পরিবর্তনের পর আমরা তার বিরুদ্ধে ৭নং চাদনীঘাট ইউনিয়নে অভিযোগ করি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাকে কয়েক বার তলব করার পরও সে ইউনিয়ন অফিসে উপস্থিত হয় নাই। পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহমেদ আলী মকিছের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য লিখিত সুপারিশ করেন।
লিখিত বক্তব্য আরো বলেন, সব গুলি দলীয় প্রোগ্রাম এবং বৈষম্য বিরুধী আন্দোলনে সে লাটি নিয়ে চৌমুহনায় অপরাপর আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের সাথে অবস্থান নেয়। আমি থানায় অভিযোগ দিলে আজ থেকে মাস দুইয়েক আগে এস আই সাইদুল এবং রানা মকিস কে জিজ্ঞাসা করার জন্য থানায় নিতে চায় তখন মকিছ বাজার ব্যবসায়ী ইসলাম এবং রোয়েল এর জিম্মায় শালিশ মানবে বলে জিম্মা নামায় স্বাক্ষর করে।
পরবর্তীতে আমাদের বাড়িতে বিচার শালিশ বসে সেই শালিসি ব্যক্তি মতিন বকশ- মাতার কাপন আমাদের পঞ্চায়িতের মুরব্বি খলিল মিয়া- শ্যামের কোনার বিশিষ্ট সালিশ আনোয়ার আলী, সাদিকুর রহমান সাদিক সহ শতেক লোক উপস্থিত ছিল । মকিছ শালিসের এক পর্যায়ে সে সিন্ধান্ত মেনে না নিলে শালিস অসমাপ্ত অবস্থায় থেকে যায়। আমরা শুনেছি এবং পত্রিকা মারফৎ অবগত হয়েছি শালিসি ব্যক্তি মতিন বকশের নামে মিথ্যা মামলা নাকি দেওয়া হয়েছে ও উনি আমাদের কে হুকুম দিয়ে তাকে বাড়ি ছাড়া করিয়েছেন আমরা হতবাক হয়েছি, এই মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী জেনে ।
আমরা প্রতিদিন দেখি মকিছ তার বাড়িতে আছে, সে কোনদিনই বাড়ির ছাড়া ঘর ছাড়া ছিল না। বাড়িতে থেকে আমার সাথে ঝগড়াবিবাদে লিপ্ত হত। আজ আমাদের গ্রামের এবং অন্যান শালিশি ব্যক্তিগন উপস্থিত আছেন আমাদের বাড়ীর প্রতিবেশি ঘরে সাথে নিকটবর্তী মানুষ আছেন তাহাদের নিকট থেকে সত্য জেনে আপনাদের মাধ্যমে আমাদের ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা হবে এবং আমরা আমাদের হক ফিরে পাব। আশা করি সত্য প্রচারিত হবে আপনাদের মাধ্যমে । এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
এসময় বিএনপি নেতা মতিন বক্স, হেলু মিয়া,পঞ্চায়েত সরদার আনোয়ার মিয়া,শ্রমিক নেতা ফজলুর রহসান ফজির, মাতারকাপন এলাকার বানিন্দা ফারুক মিয়া,ব্যবসায়ী আলমঙ্গীর হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।