মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
সিলেট প্রতিনিধি :‘হামুন’র প্রভাবে সিলেটে সকাল থেকে বৃষ্টি
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ আরও শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি গতি বাড়িয়ে বাংলাদেশের উপকূলের ৩৫০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। তবে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৯) এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে সত্যি করে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র প্রভাবে সিলেটে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টি হয়েছে। এতে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে যাওয়া লোকজন।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন সমুদ্রেই দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় এবং গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর বুধবার নাগাদ বাংলাদেশের পটুয়াখালী ও চট্টগ্রাম উপকূলের মাঝখান দিয়ে এটি আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন ।
তারা জানান- উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
‘ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে।’