সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: সিলেটের জকিগঞ্জের মিললো বাংলাদেশের ২৮ তম গ্যাসকূপ। এমনটাই মনে করছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কম্পানি (বাপেক্স)। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে এই কূপের সন্ধান পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০ টায় ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) গ্যাসের প্রথম শিখা জ্বালিয়ে এই সৌভাগ্যের আবাস দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাপেক্স।
কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের অধিক। প্রথমমত একটি স্তরের টেস্ট চলমান। কূপটিতে মোট ৪টি স্তুরে গ্যাস প্রাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাপেক্স। নতুন এই ফিল্ডটি থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে বিয়ানীবাজার ও ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোলাপগঞ্জ। বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা ভালো কিছু আশা করছি। পর্যবেক্ষণ শেষে নিশ্চিত হয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিব।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরও ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুদ। এরমধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসেবে প্রমাণিত মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ, আর সম্ভাব্য মজুদ রয়েছে আরও ৭ টিএসএফ’র মতো। ১১৩টি কূপ দিয়ে প্রতি বছরে উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় ১ টিসিএফ’র মতো। এরমধ্যে দেশীয় কম্পানির ৭০টি কূপের(দৈনিক) ১ হাজার ১৪৫ এমএমসিএফডি, আইওসির ৪৫টি কূপের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছ্ ে১ হাজার ৬১৫ এমএমসিএফ(মিলিয়ন ঘনফুট)। দৈনিক কমবেশি ২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে। গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলও এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে।