1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫২ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

৬ ছক্কায় রাসেলের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১
  • ২৯৭ বার পঠিত

ক্রীড়া ডেস্ক :: ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় দিনেই মারকাট ব্যাটিংয়ের অনন্য প্রদর্শনী করলেন বর্তমান সময়ের অন্যতম বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল। সেইন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে মাত্র ১৪ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে সিপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

শুক্রবার জ্যামাইকা তালাওয়াজের ইনিংসের ১৮তম ওভারে উইকেটে আসেন রাসেল। তখন বাকি ছিল মাত্র ১৭টি বল। সেই ওভারের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নেন ওবেদ ম্যাকয়। তৃতীয় বলে প্রথমবার স্ট্রাইক পান রাসেল। তিনি নেন এক রান। চতুর্থ বলে ফের আঘাত হানেন ম্যাকয়।

১৮তম ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২ রান করতে সক্ষম হয় রাসেলের জ্যামাইকা। আর তিনি তখন অপরাজিত মাত্র ১ রানে। সেখান থেকেই শেষ দুই ওভারে রীতিমতো সাইক্লোন বইয়ে দেন ওয়াহাব রিয়াজ ও ওবেদ ম্যাকয়ের ওপর দিয়ে। যেখান থেকে ৫৪ রান তুলে নেয় জ্যামাইকা।

শেষ দুই ওভারে তিনটি নো বলসহ রাসেল খেলেন ১৩টি ডেলিভারি। ওয়াহাব রিয়াজের ১৯তম ওভারে চারটি ছক্কার সঙ্গে এক চারের মারে তুলে নেন ৩২ রান। পরে শেষ ওভারে দুই ছয় ও দুই চারের মারে আসে আরও ২২ রান। সবমিলিয়ে দুই ওভার থেকে আসা ৫৪ রানের মধ্যে রাসেল একাই করেন ৪৯ রান।

ইনিংসের ১৮ ওভার শেষে যেখানে মাত্র ১ রানে অপরাজিত ছিলেন রাসেল। সেখানে ইনিংস শেষে তার নামের পাশে দেখা যায় ১৪ বলে ৩ চার ও ৬ ছয়ের মারে ৫০ রানের টর্নেডো। যা কি না সিপিএল ইতিহাসে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। এতদিন ধরে ১৫ বলে ফিফটির রেকর্ড ছিল জেপি ডুমিনির দখলে।

রাসেলের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়ার দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে জ্যামাইকা। যা সিপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ২০১৯ সালের আসরে জ্যামাইকার বিপক্ষেই ২৬৭ রান করেছিল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। সেটিই সিপিএলের সর্বোচ্চ।

এদিকের রাসেলের ১৪ বলে ৫০ ছাড়াও, দলকে রানপাহাড়ে চড়ানোর কৃতিত্ব পাবেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। দুই ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটন ও কেনার লুইস মিলে প্রথম ৬ ওভারেই তোলেন ৮১ রান। পাওয়ার প্লে’র শেষ বলে সাজঘরে ফেরার আগে ২ চার ও ৫ ছয়ের মারে ২১ বলে ৪৮ রান করেন কেনার।

খানিক বাদে সাজঘরের পথ ধরেন ওয়ালটনও। তার ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ২ ছয়ের মারে ২৯ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। ওপেনারদের এনে দেয়া ঝড়ো শুরু কাজে লাগান পরের ব্যাটসম্যানরাও। তিন নম্বরে নামা হায়দার আলি ৩২ বলে ৪৫ ও অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল খেলেন ২৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংস।

ফলে দুই ওভার আগেই দলীয় ২০০ রান ছুঁয়ে ফেলে জ্যামাইকা। আর শেষ দিকে নেমে বাকি কাজটা সারেন রাসেল। লুসিয়ার পক্ষে বল হাতে ৩ উইকেট নিলেও, ৪ ওভারে ৫২ রান খরচ করেন ম্যাকয়। পাকিস্তানি ওয়াহাব রিয়াজ ৩ ওভারে খরচ করেন ৬১ রান।

পরে রান তাড়া করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লে’তেই ৬৬ রান তুলে ফেলে সেইন্ট লুসিয়া। কিন্তু ততক্ষণে সাজঘরে ফিরে যায় তাদের ছয় ব্যাটসম্যান। ফলে জ্যামাইকার জয় তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সেখান থেকে ২৮ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে একশ পার করান টিম ডেভিড।

এ ছাড়া বল হাতে ৩ ওভারে ৬১ রান দেয়া ওয়াহাব ব্যাট হাতে করেন ২৯ বলে ২৬ রান। শেষ পর্যন্ত ১৭.৩ ওভারে ১৩৫ রানে গুঁটিয়ে যায় সেইন্ট লুসিয়া। জ্যামাইকার জয় ১২০ রানের বড় ব্যবধানে। বল হাতে ৪ উইকেট নিয়েছেন মিগায়েল প্রিটোরিয়াস। এ ছাড়া ৭ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার ইমরান খানের।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..