রাজনীতি ডেস্ক :: বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইন শৃংখলা বাহিনীর লোকজন আওয়ামীলীগের নেতা, এমপি ও মন্ত্রীদেরকে বলে আপনারা কি দলকে ক্ষমতা এনেছেন। দলকে ক্ষমতায় আনছি আমরা, ভোট ডাকাতি করছি আমরা, বিএনপিকে মারছি আমরা। এসব করে আপনাদেরকে ক্ষমতায় আনছি। কয়েকদিন আগে আমি বলেছিলাম, মাছের রাজা ইলিশ, আর দেশের রাজা পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা বিএনপি’র আয়োজনে বালিয়াডাঙ্গী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে মত বিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃংখলা বাহিনী চোর ডাকাতে পরিণত হয়েছে। খবরের কাগজ খুললেই দেখবেন পুলিশ ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পরছে। পুলিশের একজন এসআইয়ের ঢাকাতে ৮-৯টা বাড়ি রয়েছে। মালোশিয়াতেও বাড়ী রয়েছে। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পরেছে বিএসএফ’র কাছে। যাদের কাছে সাধারণ মানুষ চোর-ডাকাতদের ধরার আবেদন নিয়ে যায়, তারাই এখন চুরি করছে, ছিনতাই করছে। সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। বিএনপি’র লোকজনতো ধারে কাছে যেতে পারে না।

জিয়াউর রহমানের লাশ দেখেছিলেন কিনা- তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হ্যাঁ আমি জিয়াউর রহমানের লাশ দেখেছি। ১০রা জুন যখন জিয়াউর রহমান সাহেবের লাশ চট্টগ্রাম থেকে কুর্মিটোলা এয়ারপোর্টে নিয়ে আসে। তখন সেখানে সাত্তার সাহেবের মন্ত্রী সভার লোকজন, আর্মির বড় বড় উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ও সেনাবাহিনীর লোকজন দাড়িয়ে ছিল। আমি তখন ইফতেখার ইদি সাহেবের প্রাইভেট সেক্রেটারী ছিলাম।

তিনি আরও বলেন, আমার এখনও স্পষ্ট মনে আছে। জিয়াউর রহমানের সাহেবের লাশ যখন নামলো, কফিনের পেছনের ডালা যখন খুলল, ১২ জন সৈনিক যখন ডালাটাকে নামানো শুরু করল, রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদানের সময় কেউ দাড়িয়ে থাকতে পারে নাই। সবাই কেঁদেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁর জানাযায় শরীক হয়েছে। আর সেই মানুষটাকে তারা (আওয়ামীলীগ নেতারা) মানতে চায় না। অপমান করতে চায়, বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করে।

আওয়ামীলীগ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এসব কটুক্তি করা বাদ দেন। মিথ্যাচার করা থেকে সরে আসুন। মানুষের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন। এখনও সময় আছে পদত্যাগ করেন। অবাধ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন দেন। তা নাহলে জনগণ ঘার টেনে ধরে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাবে।

উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ড. টিএম মাহবুবর রহমানের সঞ্চালনায় জেলা বিএনপি’র সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মির্জা ফয়সলা আমিন, সাবেক এমপি জেড মর্তুজা চৌধুরী তুলা, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি কাজী ফাহিম উদ্দীন আহম্মেদ, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি রাজিউর রহমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন।