1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

রোজায় পানিশূন্যতা মুক্ত থাকার ৭ উপায়

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২
  • ২০৪ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: রোজার সময়ে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। এ কারণে এমনিতেই মানুষ পানিশূণ্যতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারেন। তার ওপর এবছর চৈত্র মাসের দীর্ঘ ও উত্তপ্ত দিনের বেলা রোজা রাখতে গিয়ে পনিশূন্যতায় ভোগার আশঙ্কা বেশি থাকবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট সাজ্জাদ হোসেন বলছেন, পানিশূন্যতার কারণে হার্ট রেট কিংবা প্রেশার কমে গুরুতর বিপত্তি হতে পারে। যারা রোজা পালন করেন তাদের রোজা পালনের সাথে সাথে পানিশূন্যতা যেন কোন ভাবে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে বয়স্কদের। নিয়মমতো যথেষ্ট পানি পান করলে তারা এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

ঢাকার বেসরকারি ফরাজি হাসপাতালের পুষ্টিবিদ রুবাইয়া রীতি বলছেন এবার রোজার সময়টায় গরম পড়বে বেশি। সে কারণে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে অবশ্যই পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পেতে এবং ফিট থাকার জন্য দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে।

‘ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করতে হবে। একই সাথে শরীরচর্চাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে যারা তারাবি নামাজ পড়েন সেটি তারা নিয়মিত পড়লে উপকৃত হবেন।’

তার মতে, ইফতার থেকে আরম্ভ করে সেহরি পর্যন্ত এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে যেসব খাবারে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। অনেকেই ইফতারের পর আর খেতে চান না। এটি ঠিক নয়। রাতের খাবার খেতে হবে পরিমিত মাত্রায় এবং সেহরিও খেতে হবে। তাহলে পানির ঘাটতি কম হবে।

রোজার সময় যারা রোজা পালন করেন তাদের দিনের বেলায় পানাহারের সুযোগ নেই বলে দীর্ঘ সময় পানি পান করতে পারেন না। অন্যদিকে ঘাম, প্রস্রাব ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রচুর পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এ কারণে শরীরে পানিশূন্যতার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন ও পুষ্টিবিদ রুবাইয়া রীতি উভয়ই বলছেন যে শরীর ফিট রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এবং এর আর কোনো বিকল্প নেই।

তবে সাধারণ সময়ে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত এক গ্লাস পানি খাওয়া উচিত একজন ব্যক্তির। ফলে তিনি যদি রোজা করেন তাহলে দিনের সময়টুকুতে না খাওয়া পানি তাকে ইফতার থেকে সেহরির সময়কালে গ্রহণ করতে হবে।

চিকিৎসকরা সাধারণত বয়স, উচ্চতা ও ওজন ভেদে এক ব্যক্তিকে দিনে বার থেকে ষোল গ্লাস পর্যন্ত পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

পানিশূন্যতা কেন হয়
>> দীর্ঘ সময় ধরে পানি না পান করার কারণে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে

>> খাবার তালিকায় পানিসমৃদ্ধ খাবার না রাখা

>> জ্বর বা ডায়রিয়ার মতো অসুস্থতাজনিত কারণে

>> অতিরিক্ত ভাজা পোড়া জাতীয় খাবারের কারণেও পানিশূন্যতা হতে পারে

>> ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান না করা

>> ইফতারের পর অতিমাত্রায় চা কফি খেলে

>> অতিরিক্ত রোদ বা গরমে থাকার কারণে

পানিশূন্যতার লক্ষণ
চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন বলছেন শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে জিহ্বা দেখে সহজে বোঝা যায় কারণ জিহ্বা শুকিয়ে যায়।

এ ছাড়া অনেকের চোখ গর্তে চলে যায় এবং দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। তাছাড়া শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা তেরি হয়। পানিশূন্যতার কারণে হার্ট রেট ও প্রেশার কমে যেতে পারে।

চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন ও পুষ্টিবিদ রুবাইয়া রীতি পানিশূন্যতা থেকে মুক্ত থাকার জন্য করণীয় সম্পর্কে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।

>> ইফতার ও সেহরির মধ্যকার সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান করা

>> সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া

>> ইফতারে ফলের রস ও ফলের পরিমাণ বেশি রাখা

>> সরাসরি রোদে না যাওয়া

>> অতিরিক্ত খাবার না খাওয়া

>> প্রয়োজনে ডাবের পানি বা খাবার স্যালাইন পান করা

>> হালকা শরীর চর্চা করা

পুষ্টিবিদ রুবাইয়া রীতি বলছেন অনেকেই পানি পান করতে গিয়ে ফ্রিজ থেকে বের করা ঠাণ্ডা পানি খেয়ে থাকেন যা মোটেও ঠিক নয়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি থেকে বিরত থাকতে হবে। যাদের চা পানের অভ্যাস আছে তারা দুধ চায়ের বদলে রং চা পান করতে পারে পরিমিত মাত্রায়। আর পর্যাপ্ত পানির পাশাপাশি খাবারে লাউ, কুমড়ো বা পেঁপে জাতীয় খাবার বেশি রাখলে শরীর পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পাবে।

তবে শরীর ফিট রাখতে নিয়মিত গোসল এবং চোখে মুখে বারবার পানি দেয়ার পরামর্শও দিয়ে থাকেন অনেকে। এরপরও শরীরে কোনো সমস্যা বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত বলে মনে করেন সাজ্জাদ হোসেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..