শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: কুষ্টিয়ার মিরপুরের তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের একাধিক টিকটক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার নামে ওই শিক্ষিকা চার মাস আগে এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ঝিনাইদহের শৈলকূপা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ওই বিদ্যালয়ে থাকাকালে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে চাকরি থেকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে ওই শিক্ষিকার টিকটক কাণ্ডে হতবাক কুষ্টিয়া জেলার সচেতন মহল। আর বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষকের টিকটক করা একটি ভিডিও আমিও দেখেছি। স্কুলের এক শিক্ষার্থীই আমাকে ভিডিওটি দেখিয়েছেন। দেখে চরম বিব্রত হয়েছি। তিনি কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের সামনে লজ্জায় কোনো কথাই বলতে পারছি না। অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করছেন।
প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিনের ভাইরাল হওয়া একাধিক টিকটক ভিডিওতে দেখা গেছে, বিভিন্ন বাংলা ও হিন্দি গানের তালে নানা অঙ্গভঙ্গিতে নাচ করছেন তিনি। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতায় ভাইরাল হওয়া ভুবন বাদ্যকরের গাওয়া ‘কাঁচা বাদাম’ গানের টিকটক ভিডিও রয়েছে। তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ভুল স্বীকার করেছেন। তিনি অনুতপ্ত। এরপর এমনটি আর হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে একজন শিক্ষক হয়ে টিকটক ভিডিও বানানো তার উচিত হয়নি।
মিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হায়দার বলেন, বিষয়টি এখনো নজরে আসেনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার বলেন, আমার মতো অনেকেই তো টিকটক করে। তাদের টিকটক তো সামনে আসে না। তাহলে আমারটা নিয়ে এত সমালোচনা কেন? এমনটি বলেই তিনি কলটি কেটে দেন। এরপর থেকে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।