1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৬ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বঙ্গমাতার জীবন থেকে নারীদের ত্যাগের শিক্ষা নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২
  • ১৪৭ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু সংগ্রামে নয়, দেশ পুনর্গঠন ও পরিচালনার ক্ষেত্রেও জাতির পিতাকে নিরলস সহায়তা করে গেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তার জীবন থেকে ত্যাগের শিক্ষা নিয়ে নারী সমাজকে এগিয়ে যেতে হবে।

সোমবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‍বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক ২০২২‍ বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজসেবা, শিক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য পাচ নারীকে পুরস্কৃত করা হয়।

এ সময় তিনি দেশের প্রত্যেক জেলায় একটি করে কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণের উদ্যোগ নিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্র চালিয়েছেন আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু অনেক বিষয়ে আমার মা তার পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন।’

নিজের গহনা বিক্রি করে আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর সৌভাগ্য তিনি বেগম মুজিবের মতো সহধর্মিনী পেয়েছিলেন, এ জন্যই এত সফলতা পেয়েছেন। দেশ স্বাধীন করতে পেরেছিলেন – বলেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মোড় ঘুরানো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ফজিলাতুন নেসা মুজিবের মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে। এজন্য বঙ্গবন্ধুকে তিনি ছয় দফা থেকে আট দফায় সরতে দেননি। নেতাদের চাপ শর্তেও সাত মার্চে কোনো লিখিত বক্তব্য না দিয়ে মনে যা এসেছে সেটাই বলেছেন। এমনকি সরকার চালানোর সময়ও ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও ফজিলাতুন নেতা মুজিব শুধরে দিতেন। পাশে থেকে সরকার পরিচালনায়ও সহযোগিতা করেছেন।

তিনি বলেন, সব কিছু সামলে নেবার, যেকোনো পরিস্থিতি মেনে নেবার অদ্ভুত শক্তি ছিল তার মা ফজিলাতুন নেসা মুজিবের। ফজিলাতুন নেসা মুজিব নির্দ্বিধায় নিজের টাকা, এমনকি দলের জন্য নিজের গহনাও বিক্রি করে দেন। তিনি বাবা মুজিবকে রাজনীতি করা জন্য স্বাধীনতা দিতেন।

সরকারপ্রধান বলেন, “রাষ্ট্র চালিয়েছেন আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু অনেক বিষয়ে আমার মা তার পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবার নিয়ে জাতির পিতাকে কোনো চিন্তা করার সুযোগ দেননি বেগম মুজিব। বর্তমান প্রজন্মের নারীদের বঙ্গমাতার জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

দেশের নারীসমাজের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন আদর্শ বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি। নির্লোভ, নিরহংকার ও পরোপকারী এবং পার্থিব বিত্ত-বৈভব বা ক্ষমতার জৌলুস কখনও তাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সহধর্মিণী হয়েও তিনি ‘ফার্স্ট লেডি’ পরিচয়ে পরিচিত না হয়ে, সব সময় সাদামাটা জীবনযাপন করতেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমার মা কখনোই এটা লাগবে, ওটা লাগবে বলেননি। এটা না হলে ঘর ছেড়ে চলে যাবো বলেও হুমকি দেননি। যখন যে অবস্থায় ছিলেন, মানিয়ে নিয়েছেন। সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।

‘তিনি (ফজিলাতুন নেছা মুজিব) গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করতেন। বঙ্গমাতা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’

দেশের নারীসমাজের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার দেশের নারীসমাজ যেন আমার মায়ের আদর্শ ধারণ করে চলে। চাওয়া পাওয়া ও বিলাসিতাই জীবন নয়, ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

স্বাধীনতার সংগ্রামে বঙ্গমাতার অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির জন্য তাঁর অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং অবদানের কারণে জাতি তাঁকে ‘বঙ্গমাতা’ উপাধিতে ভূষিত করেছে।

 

 

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিন বছর বয়সে তিনি পিতা এবং পাঁচ বছর বয়সে মাকে হারান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পিতা-মাতার কাছে লালিত-পালিত হন। ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছোটবেলা থেকেই ছিলেন দৃঢ়চেতা ও বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী। তিনি শুধু জাতির পিতার সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙালির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তাঁর সাহসী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্তে মামলার সব রাজবন্দির জীবন রক্ষা হয় এবং স্বাধীনতার আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তোলে। ৬-দফা ও ১১-দফা আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ অবদান রাখেন।

‘স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে জাতির পিতার সঙ্গে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে, যা জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..