1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

শ্রীমঙ্গল ভাইকে শায়েস্তা করতে মাদ্রাসার নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩
  • ৫২৩ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র জামে মসজিদের ইমাম মোঃ আজগর হোসেন (৪৫) পৈতৃক সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বড় ভাইর নির্যাতনের স্বীকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বড় ভাই মোঃ মোছাহির হোসেন ওরফে মস্তরী নিজ স্বার্থ হাসিল করতে জামেয়া হোসাইনীয়া কওমীয়া শংকর সেনা মাদ্রাসার নিয়ে ইমাম মোঃ আজগর হোসেনের বিরোদ্ধে চালাচ্ছেন অপপ্রচার। মাদ্রাসার কোন দায়িত্বে না থাকার পরও ইমাম মোঃ আজগর হোসেন উপর তুলেছেন আর্থিক লেনদেন ও দূণীর্তির অভিযোগ। উপজেলার ৬নং আশিদ্রোন ইউনিয়নের শংকর সোনা গ্রামে মোঃ মোছাহির হোসেন ওরফে মস্তরী (৬৫) তার ছোট ভাই ইমাম মোঃ আজগর হোসেন (৪৫)সহ ভাই ভাতিজাকে মৌরসী সম্পত্তি থেকে সুষ্ট অংশ না দেওয়ার জন্য প্রানে হত্যার চেষ্টা, ঘরে অগ্নি সংযোগ সহ নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে যাচ্ছেন। ইমাম মোঃ আজগর হোসেন পৈতৃক সম্পত্তি ৭ ভাই ২ বোনের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করার প্রস্তাব করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মোঃ মোছাহির হোসেন ওরফে মস্তরী তার সংঙ্গী সাথী নিয়ে প্রানে মেরে ফেলার জন্য ২৪ মে ২২ইং তার ঘরে আক্রমন করেন। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪/২২ ইং মামলা করেন। এছাড়াও মোঃ মোছাহির হোসেন ওরফে মস্তরী (৬৫) স্থানীয় জামেয়া হোসাইনীয়া কওমীয়া শংকর সেনা মাদ্রাসার আর্থিক লেদ-দেন এর অনিয়ম ও দুর্ণীতিতে ইমাম মোঃ আজগর হোসেন জড়িত বলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাড়ির বসত ঘরে অগ্নিসংযোগের মামলাটি বর্তমানে মৌলভীবাজার পিবিআইর নিকট তদন্তাধিন আছে। শংকর সোনা গ্রামের মাদ্রাসার প্রথম .০৩ শতক ভূমি দাতা মৃত কনই মিয়ার পুত্র কাদির মিয়া বলেন, আমার আব্বা এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ট্রার প্রথম উদ্দ্যোগতা। সর্ব প্রথম .০৩ শতক জমি দান করেন্। পরবর্তীতে মাদ্রাসার জন্য আরো জমি ক্রয় করা হয়। এই মাদ্রাসাটি পরিচালনার জন্য মোঃ মোছাহির হোসেন ওরফে মস্তরী ও কামাল মিয়াকে দায়ীত্ব দেওয়া হয়। তারা ৮ বছর যাবৎ মাদ্রাসা চালাচ্ছেন। এর মধ্যে কতবার আমরা এলাকাবাসী তাদেরে বলেও কোন হিসাব নিকাশ পাই নাই। এছাড়াও বহুবার কমিটি গঠনের চেষ্টা করেও মাদ্রাসার কমিটি গঠন করতে তারা দেয় নাই। বহু ব্যাক্তির নিকট থেকে মাদ্রাসার নামে লাখ লাখ টাকা সাহায্য তুলে তারা মাদ্রাসার কোন কাজ না করিয়ে নিজে আতœসাৎ করেছেন। মাদ্রাসার শিক্ষক তাদের ইচ্ছে মাফিক নিয়োগ ও বিদায় করছেন। ইমাম মোঃ আজগর হোসেন কোন সময়ই মাদ্রাসার কোন দায়দায়ীত্বে ছিলেন না, বর্তমানেও নেই। এলাকার পঞ্চায়েত এর কোন বৈঠক হলে দাওয়াত পেলে তিনি আসেন। তার বড় ভাই মোঃ মোছাহির হোসেন ওরফে মস্তরী তার সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধ করে আসছেন। এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি মাদ্রাসার সাথে জড়িত মোবারক হোসেন, আব্দুল করিম, আল আমীনসহ নাম না প্রকাশের শর্তে অনেকে বলেন, মোঃ মোছাহির হোসেন ওরফে মস্তরী ও কামাল মিয়াকে দায়ীত্ব দেওয়ার পর আর দায়ীত্ব ছাড়তে চাচ্ছেন না। মাদ্রাসার নামে চাঁদা তুলছেন আর আতœসাৎ করছেন। ২০১৫ সালে প্রতিষ্টিত মাদ্রাসা আজ পর্যন্ত উন্নতি হয়নি। আমরা জানতে পেরেছি লাখ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে। কিন্তু মাদ্রাসার কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। টাকা গুলো কোথায় যাচ্ছে জানতে পারিনা। আমরা মুফতি সাহেবের সাথে দেখা করে মাদ্রাসার উন্নয়ন ও কমিটি গঠনের আলাপ করেছিলাম। আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু মোঃ মোছাহির হোসেন ওরফে মস্তরী ও কামাল মিয়া কারনে আর কমিটি হয়নি। শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র জামে মসজিদের ইমাম মোঃ আজগর হোসেন এ মাদ্রাসার কোন দায়ীত্বে ছিলেন না। তাকে নিয়ে মাদ্রাসার বিষয় যে সব আলোচনা হচ্ছে তা সঠিক নয়। মোঃ মোছাহির হোসেন ওরফে মস্তরী ও কামাল মিয়ার কারনে এক সময় হয়তো মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যাবে। ইমাম মোঃ আজগর হোসেনসহ তার ভাই ভাতিজারা মোঃ মোছাহির হোসেন ওরফে মস্তরী ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলে জানান।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..