1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কর্মবীর, মহৎকর্মে যিনি সামনে ও স্বাপ্নিক উন্নয়নে এক মহৎপ্রাণ মানুষ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩
  • ৯২০ বার পঠিত

আমরা স্বপ্নবান মানুষ। স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলে আনন্দে আহ্লাদিত হই। মানুষ আহ্লাদিত হতে ভালোবাসে। মানুষের চিরাচরিত অভ্যাস, সে আহ্লাদিত হবে, ভালো কিছু হলেই তাকে নিয়ে আনন্দে গড্ডালিকাপ্রবাহে গা ভাসাবে। তবে সব সময় সব মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয় না, স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে হলে একটি উপলক্ষ লাগে। আমাদের একটা উপলক্ষ আছে। আমাদের বলতে আমি সুনামগঞ্জবাসীর কথা বলছি। আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে বলতে হবে জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ-৩) বাসীর। আর মূলত: আমাদের এই উপলক্ষ এখন আর কোনো গণ্ডির নয়, তিনি বাংলাদেশের ভিতরেই সীমানাহীনের। সমস্ত দেশের। বলছিলাম বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের কথা। একজন কর্মবীর মানুষ। কর্মবাস্তবায়নের এই উপলক্ষ আছেন বলেই আমরা উন্নয়ন চোখে দেখছি। সুনামগঞ্জে উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়ন হচ্ছে পথের, ঘাটের, রাস্তার। উন্নয়ন হচ্ছে হাওরের। হাওরাঞ্চলে মানুষ দেখছেন ইট পাথরে গড়া বহুতল অট্টালিকা। ভালো কোনো কিছু হলেই আমি বিমোহিত হই। শ্লোগান দিয়ে, চেঁচামেচি করে আমি আমার মোহের প্রকাশ করতে পারি না। তাই লিখি। কী-বোর্ডের বোতাম টিপে টিপে কালো হরফ দিয়ে সাজাই আমার মনের আকুতি। প্রকাশ করি আনন্দ-উদ্ভাস। সুনামগঞ্জে উড়াল সড়ক হবে- এটা আমার ভালো লাগাকেও ছাপিয়ে গেছে। হাওরের উপর দিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে সড়কটি নেত্রকোনা যাবে। ৩ হাজার ৫ শ কোটি টাকা খরচ হবে। সড়ক হবে অথচ হাওরে বাঁচবে প্রাণি বৈচিত্র্য! নিচে থাকবে অথৈ জলরাশি তার উপর দিয়ে হাওর দেখতে দেখতে কখন যে আমরা খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবো ঢাকার কাছাকাছি তা টেরই পাবো না। উড়াল সড়কটি হবে দারুণ পর্যটন কেন্দ্র। ভাবতেই ভালো লাগছে। একটা সময় সুনামগঞ্জ ছিলো শুধু হাওরিয়া জেলা। তারও আগে ছিলো ‘কালাপানির দেশ’। কতটা অবহেলিত ছিলাম আমরা! ভাবলেও গা শিউরে উঠে। লেখাপড়ার সুবাদে সিলেটে থেকেছি অনেক বছর। সেখানকার গুটি কয়েক স্থানীয় মানুষ আমাদেরকে ভাটির মানুষ, কালাপানির দেশের মানুষ ইত্যাদি বলে হেয় করতেন। আমার তেমন খারাপ লাগতো না। আত্মপরিচয় বিকাশে কিসের শরম। আমার বরঞ্চ ভালোই লাগতো। কিছু কিছু খারাপ লাগাকে ভালো ভেবে সামলে রাখতে হয়। খুব নিকট ভবিষ্যতে সেগুলো কথা বলে। ভালো লাগা হয়ে ধরা দেয়। আমার সাথে হয়েছেও তেমন। এখন আমার ভালো লাগা আগের খারাপ লাগার চেয়ে শতগুণ বেশি।

 


দুই.
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সাথে প্রায়শই ফোনে কথা হয়। বাড়িতে এলে চোখের সামনে পড়লে ভালো আছি কি না জিজ্ঞেস করেন। আমি কেমন লিখি কাছে বসে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের বলতে দেখেছি নিজ চোখে। কোন কাগজে কাজ করছি আর কার কার সাথে আছি সে খবরও রাখেন তিনি। রাণীগঞ্জ সেতু উদ্বোধনের পর তাঁর একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য নিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন- ভালো কাজ আরও হবে। ভালো কাজের বেশি প্রচার হোক। সব শেষ তাঁর সাথে আমার কথা হয়েছিলো ১৭ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্ধশত কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ নিয়ে। তিনি কাজ পাগল মানুষ। কোনো তদবির নিয়ে যাওয়ার চেয়ে কোনো কাজ নিয়ে যাওয়াকে খুব সজল চোখে দেখেন তিনি। যার কাজ সে সামনে যাবে এমনটাই চান তিনি। সদরপুর ও ভমবমি সেতুর কাজ দ্রুত শুরু করতে ব্যাপক তৎপরতা ছিলো তাঁর। সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ককে চারলেনে উন্নীত করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। কাজ করতে চান হাওর উন্নয়ন নিয়ে। জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে কোনো উন্নয়ন তিনি চান না বলেই, ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ থেকে রেলপথ যাবে মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে। শিক্ষার ব্যাপারেও বেশ আন্তরিক মন্ত্রী মান্নান। জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার প্রায় বিশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহুতল ভবনতো মন্ত্রী মান্নানেরই অবদান। সরকারের ক্রমবর্ধমান ধারায় হয় তো আমরা এগুলো পেয়ে যেতাম, কিন্তু তা কবে? সমাজটা বখে যাওয়ার পরে? গরু মরে যাওয়ার পর ঘাস দিয়ে কি হবে? এম এ মান্নান রোগী মারা যাওয়ার আগেই ডাক্তারের ব্যবস্থা করেছেন। শিক্ষার্থীদের বসবার জন্য ঘর দিয়েছেন। শিক্ষার মান বাড়ানোর কাজটি করবে সরকারের আরেকটি মন্ত্রণালয়। তিনি শিক্ষায় থাকলে হয় তো হাওরাঞ্চলের শিক্ষা নিয়ে আলাদা করে ভাবতেন। একটা সময় স্কুলঘরে টিনশেডে জীর্ণ ঘর ছাড়া কিছুই ছিলো না, এখন চারতলা উঁচুতে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে ইশাখপুর-শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সলফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলার প্রায় প্রতিটি বিদ্যাপীঠ। ক্রমান্বয়ে বেঞ্চ-ডেস্কও পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। মন্ত্রী মান্নান ব্লকবাস্টার সিনেমার পরিচালকদের মতো ক্যামেরার পেছনে থেকে এমনসব বড় বড় কাজ করে যাচ্ছেন অনেকটা চুপিসারে। শান্তিগঞ্জ উপজেলাসহ সুনামগঞ্জে দৃশ্যমান যত উন্নয়ন আছে তার প্রায় সবক’টাতেই এম এ মান্নানের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগসাজশ আছে। তিনি এমনটা করছেন বলেই সুনামগঞ্জের উপর দেওয়া কালাপানির দেশের মতো অপবাদ ঘুচতে শুরু করেছে।

তিন.
এক দশক আগে লিখেছিলাম-
মাননীয় সরকার
হারিকেনের আলোয় মানুষ
কতটুকুই বা পথ চলতে পারে?
আমাদের এখানে নেই কেন
অন্ধকারে পথ দেখানোর মতো উজ্জ্বল টর্চলাইট।
আমি এখানে কলেজ শিক্ষাকে হারিকেনের আলোর সাথে তুলনা করে বলতে চেষ্টা করেছিলাম আমাদের জেলায় মাত্র এইচএসসি পরীক্ষা পাশ করে একজন আধুনিক মানুষ একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ কতটুকুই বা মোকাবিলা করতে পারবে বা সানন্দে পথ চলতে পারবে? আমাদের ভবিষ্যৎ কোথায়? আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হলে কালাপানির অন্ধকার পথে দরকার পড়বে উজ্জ্বল টর্চলাইটের। সেই টর্চলাইটের কাজটি করবে সুনামগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আর সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো কি খুব সহজে কিংবা যেচে দিয়েছেন কেউ? অবশ্যই কেউ না কেউ এর পেছনে কাজ করতে হয়েছে। আর তিনি হচ্ছেন আমাদের গর্বের ধন মান্নান এমপি। অতি সাধারণ তো দূরে থাক, কিছু বুঝদার মানুষেরাই বলতে শুনেছি, বিশ্ববিদ্যালয় হলে কি লাভ বলুন। মেয়েদের ছোট পোশাক, অবাধ চলাফেরা, মারামারি ইত্যাদি সংস্কৃতি আমাদের এলাকায় এসে ঢুকবে। আর মেডিকেলে আমাদের মতো সাধারণ ঘরের মানুষের ভাই-ব্রাদার বা সন্তানাদি পড়ার সুযোগ পাবে? ‘ননসিলেটিরা’ এসে ভরে যাবে। পারলে আরেকটু ব্যাঙ্গ করে বলবার চেষ্টা করেন। আমি তাদের মানসিকতা নিয়ে সন্দিহান। তাদেরকে চড়থাপ্পড় দিতে ইচ্ছে করলেও পারিনা, তবে তাদেরকে খুব ঘৃণা করি। আমরা স্বপ্ন দেখি দেখার হাওরপাড়ে সুবিপ্রবির সুবিশাল একটি ক্যাম্পাস হবে। সেখানে একটি পানির ফোয়ারা থাকবে। লন্ডন শহরের বুকচিরে যেমন বয়ে গেছে টেমস নদী তেমনি আমাদের সবুজে ঘেরা ছবির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকের মধ্য দিয়ে বয়ে চলবে নাইন্দা কিংবা মহাসিং অথবা স্বতন্ত্র কোনো নামের জলধর। মেডিকেলের পেছনে যে ছোট্ট নদী এখন ডুকরে কাঁদছে মরবে বলে, সে নদী তার যৌবন ফিরে পাবে কোমলমতি ভবিষ্যৎ ডাক্তারদের অবাধ বিচরণে। নৌকা চলবে পূবালী বাসাতে স্রোতের অনুকূল কিংবা প্রতিকূলে। ছেলেমেয়েরা নৌকায় ভাসবেন আর কথা বলবেন মানুষের কঙ্কাল আর মর্গের লাশ নিয়ে, ডাক্তারি নিয়ে। দারুণ সব স্বপ্ন আমাদের। এমন সব স্বপ্নের ব্যবচ্ছেদ ঘটানোর নিষ্ফল চেষ্টা করে শকুনেরা। যে স্বপ্নের বীজ বুনা হয়েছে এম এ মান্নানের হাত ধরে সে স্বপ্ন এখন দৃশ্যমান। বাস্তবায়নও হয়েছে। এখন গোছানোর পর্ব চলছে। আমার লেখা কবিতার উত্তর মাত্র দশ বছরেই পেয়ে যাবো কস্মিনকালেও ভাবিনি।

চার.
আমাদের এখানে এখনো ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন। আর এই উন্নয়নই আমাদের এলাকার মানুষকে এক সময় জীবনমানের উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে এটা প্রায় সুনিশ্চিত। দৃশ্যমান উন্নয়নগুলো আমরা সবাই দেখি। এই নিবন্ধের তৃতীয় অংশে দু’টি মেগা প্রকল্পের কথা বলেছি। সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আর অপরটি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এই দুটি প্রকল্প যে সুনামগঞ্জবাসীকে ন্যূনতম অর্ধ শতবছর আগে এগিয়ে নিয়ে যাবে তা সুনিশ্চিত। আমি বলবার প্রয়োজন বোধ করছি না যে, আরও পাঁচ বছর পর সুনামগঞ্জের নাম মানুষের মুখে মুখে থাকবে। দেশের তাবড়-তাবড় জ্ঞানী মানুষ, শিক্ষিত মানুষের মিলন মেলা থাকবে সুনামগঞ্জে। ডক্টরেট ডিগ্রিধারী ভিসি, অধ্যাপকদের পদচারণায় মুখরিত হবে এক সময়ের তথাকথিত কালাপানির দেশ। দেশ সেরা মেধাবীমুখগুলো তাদের স্বপ্ন সাজাবে হাওরের পাদদেশে বসে। তারা ঘ্রাণ শুকবে হাওর-নদী মাছের। দেখার হাওরের ধানের সুগন্ধের সাথে পরিচিত হতে হতে তারা শিখবে কীভাবে মানুষের জীবনকে রক্ষা করতে হয়। বড় বড় ডিগ্রিধারী হয়ে দেশ সেবায় অংশ নিবে অসংখ্য শিক্ষার্থী। উদাহরণ দিতে গিয়ে বার্ধক্যে যাওয়া এই আমরাই বলবো, সুবিপ্রবিতে যেসব ছেলেমেয়েরা ঘোরাফেরা করে তারাও জ্ঞানী। এসব ছাড়াও টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), নার্সিং ইন্সটিটিউট মানুষের কল্যাণে আর শিক্ষিত প্রজন্মকে কর্মমুখী করে তুলবে। সুনামগঞ্জ হবে বাংলাদেশের মেধাবী তৈরির কারখানা। এইসব কারখানা তৈরির কারিগর কে? সুনামগঞ্জে এসব বড় বড় প্রকল্প বয়ে এনেছেন কে? আমরা সবাই তাঁর নাম জানি। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। সমালোচকেরা অনেক কিছু বলবে। বলবে, আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসব উন্নয়ন হচ্ছে। এখানে মান্নান সাহেবের কোনো অবদান নেই, থাকলেও এতো ক্রেডিট দেওয়ার তো কিছু দেখছি না। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলি, গঠনমূলক সমালোচনা করা আপনার অধিকার। এর সুফলও আছে। তবে বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করবার জন্যই আপনি এসব বলছেন। যদি এমনই হতো তাহলে দেখান তো কোন জেলা প্রায় একই সময়ে বড় বড় মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন কে করেছেন কোন কালে? পাইলট প্রকল্পগুলোর পরীক্ষামূলক ক্ষেত্রও তিনি বানিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলাকে। সুনামগঞ্জ জেলা সদরে রেলের স্বপ্ন দেখেছি অনেক আগে। গালগল্পের মতো মনে হয়েছে। এখন বাস্তবায়নের জন্য প্রক্রিয়া শুরু।

শেষ.
লিখতে বা বলতে গেলে অনেক কিছুই আছে। বলার জন্য হলে বলাই যাবে। তবে চরম সত্যকে মেনে নিতে হবে। কঠোর সমালোচনা যারা করেন দিরাই রাস্তার মুখে (মদনপুর) গিয়ে যখন বহুতল ভবন দেখেন তখন হয়তো আড়াল করে হলেও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের কথা স্বীকার করে নিতে বাধ্য হন। ব্যাস, এই তো আর ক’টা দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো কোটি টাকার মহা কর্মযজ্ঞ শুরু হবে। আমাদের অনেক দাবির মধ্যে একটা দাবি হচ্ছে যাই করা হোক না কেন আগামী অন্তত শতাব্দীকালের কথা মাথায় রেখে যেন করা হয়। পরিকল্পিত বার্সেলোনা নগরী কিংবা ইংল্যান্ডের টেমস নদীর মতো যেন পরিকল্প তি পানির ফোয়ারা থাকে আমাদের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমার বিশ্বাস, আমার উত্তর পুরুষ এখানে পড়ে দেশব্যাপী আলো চড়াবে। আমি হৃদয়ের মরম থেকে মানি যে, অনাগত আগামীর কোমলমতি মহৎপ্রাণ মানুষদের কলকাকলিতে মুখরিত হবে চিরসবুজ সাজানো-গোছানো ক্যাম্পাসগুলো। আমার চুল যদি সাদা হয়ে যায়। কীবোর্ড টিপার শক্তিও যদি হারিয়ে ফেলি, সেদিন হয়তো আজকের দিনের কথা ভেবে ভেবে স্মৃতি কাতর হবো। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করবো সুনামগঞ্জকে তুলে আনা মানুষটির নাম।

যে আমি একসময় স্বপ্ন দেখতাম অন্ধকারে পথ দেখানোর মতো উজ্জ্বল টর্চলাইটের, সে আমিই শিক্ষা নামক মহাজাগতিক আলোর বিচ্ছুরণ দেখে যদি কোনো এক পবিত্র মাস অথচ শেষ পবিত্র দিনে চোখ বুজতে পারি তখন আমি প্রশান্তি পাবো। আমার রেখে যাওয়া আলোর প্রদীপ যখন আলো চড়াবে বিশ্বময় সুনামগঞ্জ নিয়ে সেদিন আরও বেশি গর্ব হবে। এখনো আমি এই সবুজ মাঠ, ঘাস, হাওর, নদী, নৌকা, জেলে, কালাপানি নিয়ে ভীষণ রকমের গর্বিত। চোখ বন্ধ করতে করতে যদি বলতে পারি-
চেয়েছিনু যা বিশ্ব ধরায়
পেয়েছিনু তা বিশ্বালয়ে
এমন জীবন আমি চাহি বারে বারে
কালাপানি দেশের শিষ্য হয়ে।
এমন মহৎকর্মে যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি সুনামগঞ্জের স্বাপ্নিক উন্নয়নে এক মহৎপ্রাণ মানুষ। ভালোবাসা অবিরাম। শ্রদ্ধা। জয়তু এম এ মান্নান

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..