1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০১ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিন

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৪১ বার পঠিত

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদীর দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সুখ্যাতি আবহমানকাল থেকেই। সভ্যতার ক্রমবিকাশে জালের মত ছিটিয়ে থাকা নদীমালা এদেশের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং অর্থনীতির অন্যতম ধারক হিসেবে ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশের নদীমাতৃকতায় এদেশের কৃষি অর্থনীতি সমৃদ্ধি লাভ করেছে। এছাড়াও সবুজ শ্যামল বাংলাদেশের মূল উপখ্যান তৈরী করেছে বাংলাদেশের হাজারো নদী, উপনদী শাখা নদী। এ নদীগুলি আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে যে কোন মূল্যে । কিন্তু দুঃখের বিষয় নদীগুলোকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারছি না। একারণে ইতিমধ্যে অনেক নদী হারিয়ে গেছে। নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অনেক নদী অস্বিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের নানা ধরণের অপরিণামদর্শী কর্মকান্ডে, অপউন্নয়ন কর্মকান্ডে নদীগুলোওকে আমরা হারিয়ে ফেলছি। দেশে নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণে ২০১৯ সালে তালিকা প্রণয়ন শুরু করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন (এনআরসিসি)। প্রায় চার বছর কাজ শেষে গত ১০ আগস্ট সংস্থাটির ওয়েবসাইটে ৯০৭টি নদ-নদীর খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়। এ সংখ্যা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নদী গবেষকরা। এমনকি সরকারি- বেসরকারি অন্যান্য সংস্থার প্রকাশিত নদ-নদীর তথ্যের সঙ্গেও এনআরসিসির খসড়ার তথ্য মিলছে না। নদী রক্ষা কমিশনের প্রস্তুত করা খসড়া তালিকার তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি নদ-নদী সিলেট বিভাগে। এ বিভাগের চারটি জেলায় নদীর সংখ্যা ১৫৭। সবচেয়ে কম নদী চট্টগ্রাম বিভাগে। এ বিভাগে নদীর সংখ্যা ৬২। নদ-নদীর সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগ। এ দুই বিভাগে নদ-নদীর সংখ্যা যথাক্রমে ১৪৫ ও ১২৭। এরপর নদ-নদীর সংখ্যা বেশি ঢাকা বিভাগে, ১২৫টি। তারপর রংপুর বিভাগে ১১৯টি। বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগে নদ-নদীর সংখ্যা যথাক্রমে ১০০ ও ৭২। তবে এ তালিকায় প্রকাশিত নদ-নদীর সংখ্যা নিয়ে আপত্তি রয়েছে নদী গবেষকদের। তারা বলছেন, দেশে নদ-নদী রয়েছে দেড় হাজারের বেশি। কিন্তু এনআরসিসির তালিকায় তা নেমে এসেছে হাজারেরও নিচে। আবার সরকারি অন্যান্য তালিকার সঙ্গেও এটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এমন অসামঞ্জস্য নিয়ে এটি প্রকাশিত হলে দেশে নদ-নদীর সংখ্যা নিয়ে জটিলতা আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তালিকায় অসামঞ্জস্যের বিষয়টি স্বীকার করছেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও। এনআরসিসির খসড়া তালিকায় অসংগতি থাকা অস্বাভাবিক নয় উল্লেখ করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ দেশে নদ-নদীর সংখ্যা এর চেয়েও অনেক বেশি হবে। নদী রক্ষা কমিশনের গবেষণাকাজের এরিয়া হয়তো এ নদ-নদীগুলো নিয়ে ছিল। নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে সংরক্ষিত আছে। আমরা ভিন্ন একটি প্রজেক্ট নিয়েছি-সারা দেশের নদ-নদী উদ্ধার ও নাব্যতা নিয়ে। এ কাজ সমাপ্ত হলে আমরা নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা পেয়ে যাব।’ তিনি বলেন, ‘অবশ্যই দেশে নদ-নদীর সংখ্যা আরো বেশি হবে। শুধু সুন্দরবনেই নদী আছে ২১৮টি। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তালিকায় কয়টা নদী আছে তাদের জিজ্ঞেস করে দেখুন। এ সংখ্যা নদীর প্রকৃত সংখ্যা না-ও হতে পারে। আমরা বাংলাদেশের পুরনোসহ সবগুলো নদী ম্যাপ ধরে উদ্ধারের কাজ শুরু করেছি। এটা আমরা করব মৌজা ম্যাপ ধরে।’ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের বক্তব্যে সুন্দরবনে ২১৮টি নদীর কথা বলা হলেও এনআরসিসির খসড়া তালিকায় পুরো খুলনা বিভাগেই নদী দেখানো হয়েছে ১২৭টি। দেশে ৪০৫টি নদ-নদী নিয়ে ২০১১ সালে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এ নিয়ে ছয় খ-ের বইও প্রকাশ করেছিল সংস্থাটি। ওই ৪০৫ নদ-নদীর মধ্যে ১৩৯টিই এনআরসিসির খসড়া থেকে বাদ পড়েছে। ‘বাংলাদেশের নদ-নদী’ নামে ছয় খ-ে প্রকাশিত ওই সিরিজের সঙ্গে এনআরসিসির খসড়া তালিকার নদ-নদীর তথ্যে ব্যাপক গরমিল আছে বলে দাবি করেছে নদীবিষয়ক গবেষণা সংস্থা রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি)। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, পাউবোর সমীক্ষার অন্তত ১৩৯টি নদীর নাম এনআরসিসির খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। আমরা মনে করি নদীর সংখ্যা িিনর্নয় করা খুব একটি জটিল কাজ নয়। এ কাজটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমন্বয় করতে হবে। নদীর প্রকৃত সংখ্যাগুলো জানা যায় তাহলে সেগুলো সুরক্ষার পরিকল্পনাও সঠিকভাবে করা সম্ভব হবে। সর্বাত্মত গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যমান নদী সংখ্যা নির্নয়সহ তা সংরক্ষণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা আমরা সর্বাত্মকরণে প্রত্যাশা করছি। নদ-নদী আমাদের সম্পদ। এটাকে সেভাবে সংরক্ষণ করা দরকার। এর প্রথম কাজ হচ্ছে নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ।এর পর কাজ হচ্ছে সীমানা চিহ্নিত করণ। এর সাথে অবৈধ দখল উচ্ছেদ। নদীর গতিপ্রকৃতি ঠিক রাখা এবং প্রবহ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ড্রেজিং। নদীমাতৃক আমাদের এদেশে নদী হারিয়ে গেলে নানামুখী দুর্যোগ ও দুর্ভোগ বেড়ে যাবে। যে কারণে সৃষ্টি হবে নানা সমস্যা। আর নদ-নদী ঠিক রাখতে পারলে তা আমাদের আর্থ-সামাজিকভাবে নানা উপাকারে আসবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..