1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সিলেট বন্যার পানি ডুবিয়েছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি: ভেসে গেছে স্কুল ড্রেস-জুতা,বই

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২২ জুন, ২০২২
  • ২৪৪ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: সিলেটে বন্যার পানি ডুবিয়েছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ জেলার সবচেয়ে উঁচু স্থানটিও। কয়েকদিন আগের গোছানো ঘরটিও এখন এলোমেলো। পানি ভিজিয়েছে ঘরের ভেতরের আসবাবপত্রসহ সব। বন্যার পানি কেড়ে নিয়েছে অনেক; পক্ষান্তরে দিয়েছে দুঃখ-দুর্দশা। বন্যায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছে স্কুল শিক্ষার্থীরাও। পড়াশোনা বন্ধ হয়ে পড়ার পাশাপাশি পানিতে ভিজেছে তাদের বই-খাতাসহ শিক্ষা সরঞ্জাম। পানি ভাসিয়ে নিয়েছে অনেকের স্কুল ড্রেস, বই, খাতা, কলম।
তেমনই একজন সদর উপজেলার বাইশটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী সামি। তীব্র বন্যার মধ্যে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। পানি কিছু কমায় ঘরে ফিরে দেখে সব বই ভিজে গেছে। পানিতে ভেসে গেছে স্কুল ড্রেস ও পিটি করার জুতা। আজ বুধবার দুপুরে সিলেট শহরতলীর লালাবাগ এলাকার একটি সড়কের পাশে পাটি বিছিয়ে ভেজা বইগুলো রোদের মধ্যে শুকাতে দেখা যায় তাকে। সামি দিনমজুর বাবুল মিয়া ও শারমিন আক্তারের ছোট ছেলে বলে, ‘বন্যায় আমাদের ঘরটি পানিতে ডুবে যায়। মা-বাবা সবাইকে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি ঘরে আশ্রয় নেন। যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি তাদের বাড়িটি টিলার ওপর। সেখানে গিয়ে দেখি আরও লোকজন। কোন রকমে দিন পার করছি। বন্যার পানি কিছুটা নেমে যাওয়ায় এখন বাড়িতে উঠেছি। কিন্তু বন্যায় আমার স্কুলের সকল বই ও ক্লাসের খাতা ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে স্কুল ড্রেসও পানিতে হারিয়ে গেছে। রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ভিজে যাওয়া বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে সামি বলে, ‘স্কুল কবে চালু হবে জানি না। তবে বই শুকিয়ে গেলে বাড়িতে বসে বসে পড়তে পারবো। কষ্ট লাগছে স্কুল ড্রেসটিও পানিতে ভেসে গেছে। তাই মনটা খারাপ। মায়ের কাছে নতুন ড্রেসের কথা বলেছিলাম, বকা দিয়েছেন। সে বলে, ‘বাবা দিনমজুর, কোনোরকম চলছে সংসার। বাবা নতুন বই দিতে পারবে না বলার পর বই শুকাচ্ছি। সকাল থেকে সড়কের পাশে বসে রোদের মধ্যে বই শুকাচ্ছি। সামনে দিয়ে অনেকেই গাড়ি নিয়ে যাওয়া আসা করছেন। কিন্তু কেউ সহযোগিতা করছেন না। আমরা অনেক কষ্টে আছি, ত্রাণের আশায় বাড়ির সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকি। ত্রাণ চাইলে ছোট মানুষ বলে কেউ দিতে চায় না। ‘পিটি জুতার ডান পা পানিতে হারিয়ে গেছে। কিন্তু বাম পায়েরটা আছে। বন্যায় ঘরের অনেক জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে। পানিতে ভিজে স্কুলের ব্যাগটিও পচে যাওয়ায় তা ফেলা দেয়া হয়েছে। সে জন্য মনটা খুব খারাপ। বই হাতে নিয়ে স্কুলে যেতে হবে। সড়কে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় এলেন সামির মা শারমিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘বন্যায় খুব অভাবে পড়েছি। এর মাঝে ঘরে নেই কোনও খাবার। দুপুরে চিড়া আর গুড় খেয়ে এখন তাকে খাবারের জন্য নিতে এসেছি।
তিনি বলেন, ‘কোনোভাবে সংসার চালিয়ে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। সে একা একা বাড়িতে বসে পড়াশোনা করে। অভাবের সংসার তাই বাড়িতে মাস্টার (গৃহ শিক্ষক) রাখতে পারছি না। সরকারের কাছে মানবিক সহযোগিতা চাই। এই কঠিন সময়ে অনাহারে যেন না থাকি এবং যে স্বপ্ন নিয়ে সামিকে পড়াশোনা করিয়ে যাচ্ছি তা যেন বন্ধ না হয়- সেজন্য সহযোগিতা চাচ্ছি।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..